অর্ণব আইচ: ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই বন্ধুদের মাধ্যমে হয় নারী পাচার। তাই কিশোরী ছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছে তাঁদের বন্ধুদের উপর নজর রাখার আবেদন পুলিশের।
মঙ্গলবার ৫০টি স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে শহরে ‘চেতনা’ নামে একটি সেমিনারের আয়োজন করে কলকাতা পুলিশ। তাতে একাধিক কিশোরী ও তরুণীদের পাচারের ঘটনা তুলে ধরা হয়। ওই সেমিনারে উপস্থিত কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা জানান, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নারী পাচারকারীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই পাচার হওয়া কিশোরী বা তরুণীর পরিচিত। তার মধ্যে ৪৪ শতাংশই ‘বন্ধু’র রূপ ধরা শত্রু। বাকিদের ২৮ শতাংশ প্রতিবেশী, ১৭ শতাংশ পরিবারের লোক, ৬ শতাংশ পাচারকারী আসে প্রেমিকের ছদ্মবেশে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
[আরও পডুন: চরমে ডেঙ্গু আতঙ্ক, সব স্কুলে ফুলহাতা জামা-প্যান্ট পরার নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্যবিভাগের]
অভিভাবকদের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই পাচার রুখতে যেন তাঁরা বাড়ির মেয়ের উপর সারাক্ষণ নজর রাখেন। তারা যে বন্ধুদের সঙ্গে মিশছে, তারা কেমন ও তাদের আসল পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে তারা কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশলে, লুকিয়ে অতিরিক্ত সময়ের জন্য মোবাইল ফোনে কথা বললে বা চ্যাট করলে, ঘরের দরজা বেশিক্ষণের জন্য বন্ধ করে রাখলে তাদের গতিবিধির উপর যেন অভিভাবকরা নজর রাখেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে তারা কী চায়, তা বোঝার চেষ্টা করেন। সাধারণভাবে পাচারকারীদের শৃঙ্খলে থাকে চারজন। তাদের মধ্যে পরিচিত ও আসল পাচারকারী ছাড়াও মাঝখানে থাকে দুই দালাল। কোনওরকম সন্দেহ হলে যেন অভিভাবকরা কাছাকাছি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, এমনই পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।