স্টাফ রিপোর্টার: কমবয়সিদের মধ্যেই টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেশি। CoWIN বা রাজের নিজস্ব পোর্টালের মাধ্যমে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করছেন তাঁদের গড় বয়স ১৮-৪৪ বছরের মধ্যে। কিন্তু ঘটনা হল তাঁদের শারীরিক সমস্যা বা উপসর্গ কম। প্রাথমিকভাবে এই পর্যবেক্ষণ স্বাস্থ্য ভবনের।
উপসর্গ বা কোমর্বিডিটি থাকা নাগরিকদের একটা বড় অংশের মধ্যে ইতিমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিনের (COVID vaccine) দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও প্রায় সবাই দু’টি ডোজ পেয়েছেন। এমনকী, হকার, সবজি বা মাছ-মাংস বিক্রেতাদেরও সিংহভাগ টিকার আওতায় এসেছেন বলে নগরোন্নয়ন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য। কলকাতা বাদে রাজ্যে এমন ‘ভালনারেবল গ্রুপ’ থাকা নাগরিকের সংখ্যা কমবেশি দেড় লক্ষ।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী বন্ডের দুই-তৃতীয়াংশ টাকাই BJP’র তহবিলে, এক বছরে আয় ২,৫৫৫ কোটি, দাবি রিপোর্টে]
এখন বাকি রয়েছেন ১৮-৪৫ বছরের মধ্যে থাকা নাগরিকরা। এই বয়সের নাগরিকদের মধ্যে ভ্যাকসিনের আগ্রহ দেখে খুশি স্বাস্থ্যকর্তারা। কিন্তু চাহিদার তুলনায় জোগান অপ্রতুল। তাই রোজ গড়ে ৩.৫-৪ লক্ষকে টিকা দেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যভবন। কারণ, নিয়ম করে প্রায় রোজ টিকার লাইনে গন্ডগোল বা বিবাদ চলছেই। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার কিছুটা স্বস্তি। স্বাস্থ্যভবনের হিসাব রাজ্যের হাতে এদিন দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন আছে। রোজ গড়ে চার লক্ষকে টিকা দেওয়া হলে মেরেকেটে চার দিন চলবে। তাই ভ্যাকসিনের জোগান যত বাড়বে টিকাকরণে ততই গতি আসবে। লাইনে বিবাদ-বিতণ্ডা কমবে।
সোমবার দুপুরে দেড় লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ পাঠিয়েছে দিল্লি। আবার হেস্টিংসের সেন্ট্রাল ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে এদিনই আড়াই লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনা হল কোভিশিল্ড কম। কোভ্যাকসিন যথেষ্ট। এই অবস্থায় প্রথম ডোজের জন্য যাঁরা নাম নথিভুক্ত করছেন, তাঁদের কোভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্যভবন।
রাজ্যে এদিন পর্যন্ত মোট টিকা প্রাপকের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লক্ষ ৯৬ হাজার নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন। এঁদের মধ্যে ১৮-৪৪ বছরের বিশেষ ক্যাটেগরিতে থাকা নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৭৩ লক্ষ ৭৮ হাজারের কিছু বেশি। স্বাস্থ্যকর্তাদের পর্যবেক্ষণ আগে কোভ্যাকসিনের জোগান কম ছিল। কিন্তু এখন কিছুটা বেড়েছে। তাই প্রথম ডোজ কোভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য জেলাগুলিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।