সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি-সিবিআইয়ের (CBI) পর এবার রাজ্যে সক্রিয় হয়ে গেল আরও একটি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবার আসরে নামল আয়কর বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিলেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, এদিন এলগিন রোড (Elgin Road), পার্ক সার্কাস, পার্ক স্ট্রিট–সহ একাধিক জায়গায় হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। গোটা অভিযানে অংশ নেন প্রায় দেড়শো আয়কর বিভাগের (Income Tax) আধিকারিক। যে ঠিকানাগুলিতে এদিন তল্লাশি চালানো হয়েছে সেগুলি মূলত তিনটি নির্মাণ সংস্থার বলে দাবি। যদিও ঠিক কীসের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট করা হয়নি আয়কর বিভাগের তরফে। এর মধ্যে তিনটি বিখ্যাত নির্মাণ সংস্থার সদর দপ্তরও ছিল বলে আয়কর বিভাগ সূত্রের দাবি।
[আরও পড়ুন: ‘পড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয় সুকন্যা’, TET বিতর্কের মাঝেই দাবি বোলপুরের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের]
তবে সূত্রের দাবি, তিনটি নামী নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁদের কাছে বেশ কিছু নথি রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এই নির্মাণ সংস্থাগুলি ভুয়ো বা ড্যামি সংস্থা তৈরি করতে তার মাধ্যমে লেনদেন করত। কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য আরও বেশ কিছু পদ্ধতি তাঁরা বের করেছিল। সেসব নিয়েই এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে হানা দেওয়া হয় বলে শোনা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে কলকাতার উদ্দেশে রওনা অনুব্রতকন্যার, হাই কোর্টে হাজিরা দেবেন?]
বস্তুত এই মুহূর্তে রাজ্যে গরু পাচার এবং নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় ইডি এবং সিবিআই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন শাসক ঘনিষ্ঠ আমলা। সার্বিকভাবে ইডি এবং সিবিআইয়ের তৎপরতায় বেশ চাপে শাসকদল। তবে আয়কর দপ্তরের এই সক্রিয়তার এই দুই তদন্তের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, সেটা স্পষ্ট নয়।