সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে (West Indies) দুরমুশ করেছিল রোহিত শর্মার ভারত (India)। তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছিল ৩-০ ফলাফলে। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই ফল হল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। রবিবার প্রথমে ব্যাট করে ভারত করেছিল ৫ উইকেটে ১৮৪ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ভারত জিতল ১৭ রানে। দাপট দেখালেন ভারতীয় বোলাররা। দীপক চাহার, ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শার্দূল ঠাকুর ২টি করে উইকেট নেন। হর্ষল প্যাটেল নেন ৩টি উইকেট।
ভারতের পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। দীপক চাহারের বলে ঠকে যান কাইল মায়ার্স (৬)। ঈশান কিষান উইকেটের পিছনে তাঁর ক্যাচটি ধরেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৬। চাহার আবার ধাক্কা দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে। এবার চাহারের বলে ফেরেন শাই হোপ (৮)। ক্যারিবিয়ানরা ২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটটি হারায়। দীপক চাহার বল হাতে তখন ছন্দে। কিন্তু আচমকাই চোট পেয়ে উঠে যেতে হয় তাঁকে। ফলে যে কামড় তিনি শুরুতেই দিয়েছিলেন, তা কিছুটা হলেও শিথিল হয়ে যায়। শুরুর বিপর্যয় সামলে ইনিংস গড়ার কাজ করেন রোভম্যান পাওয়েল ও নিকোলাস পুরান। দু’ জনে ৪৭ রান জোড়েন। এই জুটি ভাঙেন হর্ষল প্যাটেল। পাওয়েলের (২৫) ক্যাচ ধরেন শার্দূল ঠাকুর। ক্যাচটি ধরার সময়ে শার্দূল ঠাকুর আগাগোড়া বলের দিকে তাকিয়েছিলেন। এক মুহূর্তের জন্যও বলের থেকে নজর সরাননি।
[আরও পড়ুন: সাংবাদিকের হুমকির মুখে ঋদ্ধিমান! একযোগে গর্জে উঠলেন শেহওয়াগ-হরভজনরা]
কায়রন পোলার্ড (৫) বড় ম্যাচের প্লেয়ার। আইপিএলে কঠিন মুহূর্তে বহুবার ম্যাচ জিতিয়েছেন। এদিন পোলার্ড নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিলেন। ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে মারতে গিয়ে রবি বিষ্ণোইয়ের হাতে ধরা পড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। জ্যাসন হোল্ডারও (২) ভেঙ্কটেশ আইয়ারের শিকার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রস্টন চেজ (১২)। হর্ষল প্যাটেলের বলে বোল্ড হন তিনি। ভাঙনের মুখে লড়লেন কেবল নিকোলাস পুরান। ৬১ রানে ফিরলেন তিনি। শার্দূল ঠাকুরকে মারতে গিয়ে শূন্যে বল তুলে দেন। ঈশান কিষান তালুবন্দি করেন পুরানকে। ক্যাচটির জন্য তারিফ করতে হবে ঈশান কিষানকে। পুরানের লড়াই কাজে এল না ইডেনে। ক্রমশ বাড়ছিল আস্কিং রেট। সেই আস্কিং রেটের পাহাড় ডিঙিয়ে জেতা সম্ভব ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছিলেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। তবে এদিনের ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। কিন্তু ভারত নিয়মরক্ষার ম্যাচ হিসেবে দেখেনি। বরং পোলার্ডদের হোয়াইটওয়াশ করাই ছিল লক্ষ্য। টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায়। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনেছিল ভারত। রোহিত শর্মা নিজে ওপেন করতে না নেমে ঋতুরাজকেই প্রথমে পাঠানো হয়েছিল। ঈশান কিষানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অবশ্য ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি তিনি। ৪ রানে আউট হন ঋতুরাজ। ঈশানের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ শ্রেয়সও (Shreyas Iyer)। হোল্ডারের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ২৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। পয়া মাঠে রান এল না রোহিতের ব্যাট থেকেও। ১৫ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি।
ভারতের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। একের পর এক চার ছক্কা হাঁকিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন সূর্যকুমার। ৬৫ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ৭টি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
সূর্যকুমারের যোগ্য সঙ্গী হয়ে ওঠেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ১৯ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ দুই ওভারে ক্যারিবিয়ান বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে ৪২ রান তোলে এই জুটি। ভারতের রান তাড়়া করতে নেমে ২০ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা করল ১৬৭।
[আরও পড়ুন: নজর কাড়লেন পোড়েল ব্রাদার্স, দুর্দান্ত কামব্যাক করে রনজি ম্যাচে জয় বাংলার]