সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরিয়া লড়াই করেছিলেন। অর্শদীপ সিংয়ের শেষ ওভারে দুটো বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু দলকে জেতানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচ হেরে নাসিম শাহ কেঁদে ফেলেন। মরিয়া লড়াই শেষে নাসিমের (Naseem Shah) পিঠে সান্ত্বনার হাত রোহিতের। শাহিন আফ্রিদি তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। নাসিম কাঁদছেন আর শাহিন আফ্রিদি তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন, এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও পাক পেসার নাসিম শাহের পিঠ চাপড়ে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘প্রচণ্ড জোরে দুটো আওয়াজ পেলাম’, পাকিস্তান হারতেই নিউ ইয়র্ক পুলিশকে বার্তা দিল্লি পুলিশের]
বল হাতে তিন-তিনটি উইকেট নেন নাসিম। ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারে পাক দলের দরকার ছিল ১৮ রান। অর্শদীপ সিংয়ের প্রথম বলেই আউট হন ইমাদ ওয়াসিম। অর্শদীপের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুটো বাউন্ডারি মারেন নাসিম। তবুও তা যথেষ্ট ছিল না।
নাসিম বড় শট খেলতে পারেন। অতীতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন এশিয়া কাপে। ফলে শেষ ওভারে নাসিম-আতঙ্ক একটা ছিলই। শেষমেশ ৪ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন নাসিম।
শেষ ওভার বেশ ভালো করেন অর্শদীপ। উইকেটও নেন প্রথম বলে। জশপ্রীত বুমরাহ তো বল হাতে এককথায় দুর্দান্ত ছিলেন। উইকেট নেন, রান আটকান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১১৯ রান একেবারেই যথেষ্ট নয়। কিন্তু নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে এই ১১৯ রানই যথেষ্ট। তার উপরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে পাকিস্তানের। ফলে চাপ বাড়তে থাকে বাবর আজমদের উপরে। খেলার শেষে পাক অধিনায়ক বাবর আজমকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আমরা বল ভালো করেছি। ব্যাট করতে নেমে পরপর উইকেট হারিয়ে বসি। অনেকগুলো ডট বলও হয়েছে। স্ট্রাইক রোটেট করা এবং বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় ছিলাম আমরা। কিন্তু আমরা অনেকগুলো ডট বল খেলে ফেলি। টেলএন্ডারদের থেকে বেশি কিছু প্রত্যাশা করতে পারি না। শেষ দুটো ম্যাচ আমাদের জিততে হবে। কোথায় আমাদের ভুল হয়ে গেল, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।''