সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবার ছিল রাজস্থানের বাঁধনি ছাপের পাগড়ি। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে পড়লেন রাজস্থানের পাগড়িই। তবে বদলে গেল প্রিন্ট। এবার লালকেল্লা থেকে যে পাগড়ি পড়ে ভাষণ দিয়েছেন তার নাম 'লেহেরিয়া'।
লালকেল্লা থেকে ভাষণে রঙিন পাগড়ি বেঁধে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই নিয়ে ১১ বার স্বাধীনতা দিবসে জাতির প্রতি ভাষণ দিলেন তিনি। রাজস্থানী পাগড়ির সঙ্গে তিনি পড়েছেন সাদা কুর্তা, চুড়িদার। কুর্তার উপরে গলাবন্ধ নীল জ্যাকেট।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দু-সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তিত ১৪০ কোটি ভারতীয়’, লালকেল্লা থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বার্তা মোদির]
দেশের পোশাক সচেতন রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি যে অন্যতম, তা মানবেন সকলে। শোনা যায়, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই তিনি এই বিষয়ে সচেতন। এক দিনে দুজায়গায় বক্তৃতা থাকলে নাকি গাড়িতে আলাদা জ্যাকেট, প্রয়োজনে আলাদা উড়নিও রাখা হত। এহেন মোদি শিরসজ্জা নিয়ে বরাবর সচেতন। সুযোগ পেলেই টুপি বা পাগড়ি পড়েন। ২০১৪ সাল থেকে স্বাধীনতা দিবসে পাগড়ি ছাড়া অন্য কিছু পরেননি।
যে পাগড়ি তিনি পড়েছেন তা রাজস্থানের ঐতিহ্য বহন করে। 'লেহেরিয়া' ডিজাইনটি থর মরুভূমিজুড়ে পাওয়া প্রাকৃতিক তরঙ্গের দ্বারা অনুপ্রাণিত। প্রায় কোমর পর্যন্ত লম্বা পাগড়িটিতে কমলা, হলুদ, সবুজ রঙের মিশেল রয়েছে।
লালকেল্লা থেকে জাতপাত-বর্ণ-ধর্মের উপরে উঠে সংহতির বার্তা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে তুলে ধরার কথা বলেছেন। তাঁর ভাষণে ফের ২০৪৭ -এর মধ্যে বিকশিত ভারত তৈরি করার ডাক শোনা গিয়েছে। তাঁর দাবি, ৪০ কোটি মানুষ স্বাধীনতা এনেছিলেন। লড়াই করেছিলেন। ১৪০ কোটি ভারতীয় যদি শপথ নেন, ২০৪৭ -এর মধ্যে বিকশিত ভারত তৈরি হবে।