সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মীকে জোর করে নোংরা জল খাওয়ানো হয়। মারা হয় রড দিয়েও। ক্যামেরার সামনে তাঁদের বাধ্য করা হয় অপরাধ স্বীকার করতে। যদিও কী সেই অপরাধ, তা তাঁরা নিজেরাও জানতেন না। এমনটাই অভিযোগ নয়াদিল্লির (New Delhi)।
[আরও পড়ুন: ইন্দো-চিন সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নজর রাখছে আমেরিকা, বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা হোয়াইট হাউসের]
মঙ্গলবার এই ঘটনার প্রতিবাদে পাক রাষ্ট্রদূতের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত (India)। একটি বিবৃতি জারি করে বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, ইসলামাবাদে দুই ভারতীয় কূটনীতিককে মারধর করা হয়। তাঁদের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। ক্যামেরার সামনে তাঁদের মিথ্যা মামলা অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছে। শুধু তাই নয় নয়াদিল্লিতে পাক হাই কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় নয়াদিল্লি। এই ঘটনায় পাকিস্তান থেকে কূটনৈতিক মিশন প্রত্যাহার করতে পারে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। যদিও ভারতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলমাবাদের দাবি, অভ্যন্তরীণ বিষয় থেকে নজর ঘোরাতে কূটনীতিকদের নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করছে নয়াদিল্লি।
উল্লেখ্য, সোমবার পাকিস্তানি সময় সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ হাই কমিশন সংলগ্ন একটি পেট্রল পাম্প থেকে ১৫-১৬ জনের একটি সশস্ত্র দল দুই ভারতীয় কর্মীকে তুলে নিয়ে যায়। তারা ৫-৬টি গাড়ি করে এসেছিল। দ্বিমু ব্রহ্ম ও পাল সেলভাদাস নামের ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মীদের হাতকড়া পরানো হয়। মাথার উপর ছুঁড়ে দেওয়া হয় রুকস্যাক। সেখান থেকে তাঁদের একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর দুটো পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। চলে অকথ্য অত্যাচার। দুই কর্মীর থেকে হাইকমিশনের খুঁটিনাটি জানা হয়। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দুই কর্মীর ‘স্বীকারোক্তি’র ভিডিও রেকর্ড করে অপরহণকারীরা। যদিও তারপর চাপ বাড়ায় রাতেই দুই ভারতীয় দূতাবাস কর্মীকে মুক্তি দেয় পাকিস্তানের (Pakistan) পুলিশ। প্রসঙ্গত, পাক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, দ্রুত বিএমডব্লু গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় এক পথচারীকে ধাক্কা মেরে গুরুতর জখম করেন ওই দুই দূতাবাস কর্মী। হিট অ্যান্ড রানের এই ঘটনার পর দুর্ঘটনাস্থলেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের থেকে বেশি মানুষ মারা গেছেন করোনায়, জানাল রিপোর্ট]
The post পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের ২ কর্মীকে খাওয়ানো হয় নোংরা জল, মারা হয় রড দিয়ে appeared first on Sangbad Pratidin.