কিংশুক প্রামাণিক: বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় বৈঠকের দিনই ধুলো মুছে সামনে আনা হয়েছিল NDA’র ফাইল।
বাণিজ্যনগরীতে তৃতীয় বৈঠকের আগে ২০০ টাকা কমে গেল রান্নার গ্যাসের দাম। পর পর এই ঘটনাক্রমই বিজেপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধতার জয় বলে মনে করছেন ‘INDIA’ জোটের নেতারা।
তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে নৈশভোজের আগেই ২৮ দলের নেতারা প্রাথমিক আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিলেন আরও এগোতে হবে। রাজ্যে রাজ্যে নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি বন্ধ করতে হবে। এখন বিজেপির (BJP) বিরোধিতা ছাড়া আর কোনও লক্ষ্য নেই। তৃণমূল স্তর পর্যন্ত যত শক্তিশালী জোট, তত নার্ভাস হবে বিজেপি। লোকসভা ভোট (Lok Sabha) যখন হয় হোক, আসন্ন ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট থেকেই একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়া শুরু হবে বলেও ইন্ডিয়ার নেতারা একমত হলেন।
[আরও পড়ুন: আদানিদের বিরুদ্ধে নয়া দুর্নীতির অভিযোগ, ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ পালটা দুর্নীতি সংস্থার]
এক দুই তিন। দেশের তিন প্রান্তে তিনটি বৈঠক কম কথা নয়। বিজেপি আপ্রাণ চেষ্টা চালাছে জোট ভাঙার। কিন্তু মুম্বইয়ে এদিন দেখা গেল সব দলের সব নেতা হাজির। ২৬ থেকে বেড়ে ২৮ দল। প্রায় ৬৫ জন নেতা। সোনিয়া-রাহুলের (Rahul Gandhi) মাঝে উজ্জ্বল উপস্থিতি মমতা বন্দ্যোপাধায়ের (Mamata Banerjee)। সঙ্গী অভিষেক।
[আরও পড়ুন: ‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন’, ‘জওয়ান’-এর রুদ্ধশ্বাস ট্রেলারে রবিনহুড শাহরুখ]
শুক্রবার মূল অধিবেশন। তার আগেই সুর বেঁধে গেল। জোট নেতারা প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করে নিলেন। ঠিক হল, ইস্যুভিত্তিক সংসদের ভিতরে বাইরে লড়াই আরও বাড়বে। আচমকা সংসদের অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেখানেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) বিরুদ্ধে লড়বে ‘ইন্ডিয়া’। এদিকে বিভিন্ন কমিটির সদস্যদের নাম শুক্রবার ঘোষণা করা হবে। আগামী কর্মসূচিও জানানো হবে। যতদূর সম্ভব রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতার কাজ শুরু হবে। ওড়িশা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা থেকে এখনও জোটে কোনও দল নেই। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ওই তিন রাজ্যের প্রধান আঞ্চলিক দলগুলির জন্য জোটের দরজা খোলা রাখা হচ্ছে। জোট নেতারা মনে করছেন রাজ্যে রাজ্যে কুস্তি বন্ধ করার সময় এসেছে। বস্তুত বাংলায় যে কায়দায় মমতাকে আক্রমণ করেন রাজ্য কংগ্রেস (Congress) নেতারা তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পাটনা, নাগপুর, চেন্নাই, গুয়াহাটি ও দিল্লিতে জোটের জনসভার প্রস্তাব এসেছে।