ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘ইন্ডিয়া’ নাম কেটে দিলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। বিজেপিকে বিঁধে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে ঘোষণা করে দিলেন, এনসিইআরটি যতই সিলেবাস থেকে ইন্ডিয়া শব্দটি দেওয়ার সুপারিশ করুক, বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দুটি শব্দই ব্যবহার করা হবে। যেমন সংবিধানে আছে।
বুধবারই NCERT-র বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করেছে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে আর ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি ব্যবহার করা হবে না। বদলে সব জায়গায় সব ভাষায় ব্যবহার করা হোক ‘ভারত’ শব্দটি। সেই সঙ্গে ওই কমিটির সুপারিশ, ইতিহাসের ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বদলে পড়ানো হবে সনাতনী ভারতীয় ইতিহাস। এনসিইআরটির বিশেষজ্ঞ কমিটির সাত সদস্যের সহমতের ভিত্তিতেই ওই সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই এনসিইআরটির সেই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: উৎসবেও রেহাই নেই! দাদুর সঙ্গে দশেরা অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘ধর্ষিতা’ ৩ বছরের শিশুকন্যা]
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে (BJP) কার্যত তুলোধোনা করলেন। মমতার প্রশ্ন, “এখন বলছে ইন্ডিয়ার নাম কাটো, ভারতের নাম লাগাও। কেন? সংবিধানে নাম লেখা। সবাইকে নোটিস দিচ্ছে ইন্ডিয়ার নাম বাদ দাও। কেন? এত ভয় কীসের? আমরা ইন্ডিয়া নাম নিয়েছি বলে? কাল যদি আমরা আমাদের নাম বদলে অব্লিক দিয়ে ভারত যোগ করি তাহলে আবার বদলাবে?”
[আরও পড়ুন: ‘হেমা মালিনীকেও নাচিয়ে ছেড়েছি’, উন্নয়ন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর!]
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ইন্ডিয়ার (INDIA) বদলে ভারত করে দিচ্ছে। ইতিহাস বদলে দেওয়া হচ্ছে। বইয়ের নাম বদলে দিচ্ছে। পাঠ্যবই বদলে দিচ্ছে। পুজোর মধ্যে দেখলাম ইন্ডিয়া নামটা কেটে দিচ্ছে। কে NCERT? এদের কী কাজ? এসব সরকারেরই অংশ। পুজোর মধ্যে NCERT বলে দিল পরামর্শ দিল, ইন্ডিয়া কেটে ভারত করো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইন্ডিয়ার সঙ্গে অবলিক ভারত থাকবে।” অর্থাৎ বাংলার পাঠ্যবইয়ে যে ইন্ডিয়া নামটা বদলানো হবে না, সেটা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শেষে এসে স্পষ্ট করে মমতা বলে গেলেন, সব ভুলে যেতে পারি। কিন্তু দেশের নাম ভুলব না। শহিদরা যে দেশের জন্য নিজেদের রক্ত দিয়ে অঞ্জলি দিয়েছেন, তাঁদের আত্মবলিদান ভুলব না। সংবিধানে ভারত শব্দটি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ইন্ডিয়া শব্দটি।