সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ চার বছর পর ভারত-চিন সম্পর্কে উন্নতি। জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেনা সরানো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। অবশেষে একমত হয়েছে দুই দেশ। তার ফলে সেনা সরানো এবং সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে দুপক্ষই। উল্লেখ্য, আগামী কাল ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড়সড় উন্নতি হল।
মোদির সফরের আগে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি বলেন, " গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার পরে সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ পদক্ষেপ করবে।" তবে সীমান্তে নজরদারি চলবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘাতের পর থেকে সীমান্ত এলাকায় কার্যত যুযুধান ছিল দুই দেশ। তার পর থেকে একাধিকবার দুই দেশের সেনা বৈঠকে বসলেও রফাসূত্র মেলেনি। তবে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে গত আগস্ট মাসে ইতিবাচক পদক্ষেপ করে ভারত এবং চিন। দুই দেশের মধ্যে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল সেই বৈঠকেই। অবশেষে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে কিছুটা অগ্রসর হল দুই দেশ। সূত্রের খবর, সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে সামরিক তৎপরতা কমাবে ভারত এবং চিন। তবে আগের মতোই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এলাকায় চলবে দুই দেশের সেনার নজরদারি।
তবে দুই দেশের সেনা ঠিক কোন কোন বিষয়ে সহমত হয়েছে, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য দেননি বিদেশ সচিব। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় একাধিক সামরিক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে দুই পক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানা যায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিকস সম্মেলন চলাকালীন মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার পরে হয়তো প্রকাশ্যে সরকারিভাবে একমত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করবে দুই দেশ।