সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে জেহাদের বিষ ছড়াতে তৎপর পাকিস্তান। ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর পাক সেনার সদর দপ্তর রাওয়ালপিণ্ডির নির্দেশে উপত্যকায় সন্ত্রাসের আগুনে আরও বেশি করে ঘি ঢালছে লস্কর, জইশ ও হিজবুলের মতো মুসলিম জঙ্গি সংগঠনগুলি। এবার সেই গোটা ষড়যন্ত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরেছে নয়াদিল্লি বলে খবর।
[আরও পড়ুন: বাংলায় ২০০ আসন পেতে পারে দল, দাবি বিজেপির কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বৈঠকে]
ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, শ্রীনগরে ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের সামনে গোটা পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্তের ওপার থেকে আসা আক্রমণ সম্পর্কে বলেছেন প্রদেশটির সরকারি আধিকারিকরা। ভারত সাফ জানিয়েছে, উপত্যকায় ৩৭০ অনুচ্ছেদের অবলুপ্তির পর থেকেই রাষ্ট্রসংঘে ও অন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে প্রচার করে যাচ্ছে পাকিস্তান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাম্প্রতিক সফরে তারই পালটা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। সূত্রের খবর, বিদেশি প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে, শীতের মরশুমের আগে পর্যন্ত বারবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসলামাবাদ। কাশ্মীর সীমান্তে সব সময় ওঁত পেতে রয়েছে পাকিস্তানের মদতপ্রাপ্ত জঙ্গিরা। পাকিস্তান তাদের দেশের সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে ঢোকানোর জন্য সীমান্তে বারবার গুলিবর্ষণ করছে। সীমান্তে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের বয়ানও তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলের সামনে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয় ‘ভূস্বর্গ’কে। আর এনিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। তারপরই উপত্যকায় সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত বুধবার শ্রীনগর আসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। সেখানে জেলা উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির খান ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইইউ প্রতিনিধিরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও তাদের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধিরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত সরকার যা দাবি করছে, বাস্তবে আদৌ তার সঙ্গে কোনও মিল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের এই সফর। সব মিলিয়ে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর কাশ্মীরে পরিস্থিতি যে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই চিত্র ফুটিয়ে তোলাই লক্ষ্য মোদি সরকারের।