সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বিশ্বের শরণার্থীদের রাজধানী হতে পারে না। আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই কথাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৩১ জুলাই অসমের নাগরিকপঞ্জি চূড়ান্ত করার সময়সীমা শেষ হবে। সেই সময়সীমা বাড়ানোর আরজি জানিয়ে এদিন যৌথভাবে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার ও অসম সরকার। আবেদনে বলা হয়েছে, অসমে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধের খসড়ায় অসংখ্য মানুষের নাম ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই তালিকা থেকে নির্ভুলভাবে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির জন্য আরও কিছু অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: বাবরি ধ্বংস মামলায় ৯ মাসের মধ্যেই ভাগ্য নির্ধারণ আডবানী-উমার]
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে অসমের নাগরিকপঞ্জির প্রথম খসড়াটি ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১.৯ কোটি মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তালিকায় নাম না ওঠায় অসংখ্য অসমবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এর প্রভাবে দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তার পরেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ নিয়ে অনেক বেশি যত্নবান হয় দুই সরকারই। গত মে মাসে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল ৩১ জুলাই চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের শেষ তারিখ। যা আর পিছানো হবে না। এদিন শীর্ষ আদালত জানতে চায়, নাগরিকপঞ্জির খসড়া ফের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে কিনা। আগামী মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, বিশেষত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম ভুলভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২০ শতাংশ নথিভুক্ত মানুষের নাম পুনরায় খতিয়ে দেখা জরুরি।
এছাড়াও বাকি রাজ্যে আরও ১০ শতাংশ নাম ফের খতিয়ে দেখা দরকার। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৮০ লক্ষের কাছাকাছি। সেই সঙ্গে বর্তমানে অসমে বন্যা পরিস্থিতির জন্য এই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখে নির্ভুল তালিকা তৈরি করতে সরকারের আরও কিছু সময় প্রয়োজন। এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চ অবৈধ নাম নথিভুক্তকারীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে অসমের নাগরিকপঞ্জির কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে স্বাধীনতা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কুলভূষণ মামলায় পাকিস্তান আইসিজে-র রায় অমান্য করলে কী করবে ভারত?]
The post শরণার্থীদের রাজধানী হতে পারে না ভারত, সাফ জানাল কেন্দ্র appeared first on Sangbad Pratidin.