সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিলল লাদাখে বরফ গলার ইঙ্গিত। সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখের মধ্যেই গোগরা হটস্প্রিংয়ে সংঘাতের কেন্দ্র থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে চিন। ফৌজ সরাবে ভারতও। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আর কয়েকদিন পরেই উজবেকিস্তানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে চিন (China) জানিয়েছে গোগরা হটস্প্রিংয়ের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ (পিপি-১৫) থেকে দুই দেশের ফৌজ প্রত্যাহার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। গত বৃহস্পতিবার থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের আগের অবস্থানে ফিরে যাবে দুই দেশের সামরিক বাহিনী। শুধু তাই নয়, এলএসি-র পিপি-১৫ ও আশপাশের সংঘাতের কেন্দ্রে তৈরি করা অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও অন্যান্য সামরিক পরিকাঠামো সরানো হবে। এর ফলে সীমান্তে শান্তি ও সহাবস্থানের পরিস্থিতি ফিরবে। তবে আপসের সুরে কথা বললেও সীমান্ত সংঘাতের জন্য ফের দিল্লির দিকেই আঙুল তুলেছে বেজিং।
[আরও পড়ুন: ‘ধন্যবাদ মা’, এলিজাবেথের ছবি নিয়ে জাতির উদ্দেশে আবেগঘন ভাষণ রাজা চার্লসের]
এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “এই এলাকায় তৈরি করা অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও অন্যান্য সামরিক পরিকাঠামো সরানো হবে। সংঘাতের (গালওয়ান লড়াই) আগের অবস্থানে ফিরে যাবে দুই দেশের সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনওভাবেই একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থা বদল করতে দেওয়া হবে না। এলএসি-র অন্য সংঘাতের বিষয়গুলির সমাধান করতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের সেনার ১৬তম কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে সেনা সরানোর কথা ঘোষণা করে নয়াদিল্লি ও বেজিং। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই লাদাখ সীমান্তের সমস্যাও গুরুতর আকার ধারণ করেছে। বারংবার বৈঠকে বসেও কোনও সমাধানসূত্র মিলছিল না। এদিকে ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর সমরখন্দে (Samarkhand) হতে চলা এসসিও (SCO) সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯-এর ১৩ নভেম্বরের পর দুই নেতার মধ্যে সরাসরি দেখা হয়নি।