সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীর সফরে গিয়ে বিতর্ক উসকে দিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর (Ilhan Omar)। পাকিস্তানের দখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ডে মার্কিন আইন প্রণেতার এই সফরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইলহানের সফর ‘সংকীর্ণ মানসিকতার’ পরিচয় বলে তোপ দেগেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।
[আরও পড়ুন: মুসলিম বন্দিদের সঙ্গে রোজা পালন হিন্দুদের, অশান্তির আবহে সম্প্রীতির বার্তা উত্তরপ্রদেশের জেলে]
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “তিনি (ইলহান ওমর) অবৈধভাবে পাকিস্তানের দখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ডে গিয়েছেন। তিনি নিজের দেশে এমন সংকীর্ণ মানসিকতার রাজনীতি করতে পারেন, সেটা তাঁর বিষয়। কিন্তু আমাদের ভৌগলিক অখণ্ডতার অবমাননা মেনে নেওয়া হবে না। এটা খুবই নিন্দাজনক।”
এপ্রিলের ২০ তারিখ অর্থাৎ গতকাল চারদিনের পাকিস্তান সফরে এসেছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ‘হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস’-এর সদস্য ইলহান।
উল্লেখ্য, ইলহানের পাকিস্তান প্রীতি ও ভারত বিদ্বেষ অজানা নয়। বাইডেন জমানায় একাধিকবার ভারতবিরোধী বক্তব্যের অভিযোগ রয়েছে ইলহানের বিরুদ্ধে। ভারতে মুসলিমরা সুরক্ষিত নন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কংগ্রেসে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। সিএএ, এনআরসি নিয়েও প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন তিনি। গত সপ্তাহেই বাইডেনের (Joe Biden) ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ইলহান ওমর ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘটা একাধিক ঘটনার সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেন, “ভারতের মুসলমান জনসংখ্যার জন্য মোদি এমন কী করেছেন, যার জন্য আমরা ভারতকে দুনিয়া জুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার অভিযানে আমেরিকার সঙ্গী ভাবতে পারি?”
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুরু থেকেই কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিক মঞ্চে তোলার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ইলহান ওমরের সফর সেই ষড়যন্ত্রের অংশ। ইতিমধ্যে আমেরিকা-সহ বিশ্বমঞ্চে নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছে কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এক্ষেত্রে তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। অনেকেই মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে, মানবাধিকার থেকে শুরু করে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরে রাশিয়ার বিরোধিতা করতে ভারতকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। কিন্তু এদিন অরিন্দম বাগচী যেরকম কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিলেন তাতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট।