shono
Advertisement

‘প্রিয় বন্ধু’আবের মৃত্যুতে শোকার্ত মোদি, জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতে

ভারতকে নিয়ে 'কোয়াড' বা চতুর্দেশীয় অক্ষ তৈরির পরিকল্পনা ছিল আবের মস্তিস্কপ্রসূত।
Posted: 03:56 PM Jul 08, 2022Updated: 04:27 PM Jul 08, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবাসরীয় সকালে আচমকাই দুঃসংবাদ ভেসে এল ‘সূর্যোদয়ের দেশ’ থেকে। ভাষণ দেওয়ার সময় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শিনজো আবে। এরপরই টুইটে বন্ধুর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বেলা গড়াতেই জানা যায়, অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। এরপরই জাতীয় শোক ঘোষণা করে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা।

Advertisement

বলা হয়, জাপানের (Japan) সঙ্গে ভারতের ‘কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের অন্যতম স্থপতি ছিলেন আবে। তাই তাঁর মৃত্যুতে শোকের কালো ছায়া নেমে এসেছে ভারতেও। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি সবার জানা। বলা হয়, এই দুই রাষ্ট্রনেতার প্রচেষ্টার ফলেই প্যাসিফিকে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি সবল অবস্থান তৈরি হয়েছে। বলে রাখা ভাল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশের সমর নীতিতে পরিবর্তন এনে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক মজবুত করায় জোর দিয়েছিলেন আবে। চিনা আগ্রাসনের বিপদ যে কতটা, তা তিনি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। শুধু তাই নয়, জাপানের অর্থনীতিকে মজবুত করতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি, তা পরিচিত লাভ করে ‘অ্যাবেনমিক্স’ নামে।

[আরও পড়ুন: কোয়াড বৈঠক শেষ হতেই দক্ষিণ চিন সাগরে পেশিশক্তির প্রদর্শন চিনা নৌসেনার]

এদিন, আবের মৃত্যুর খবর প্রকাশ পেতেই টুইটারে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) লেখেন, “আমার অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু ছিলেন আবে। তাঁর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। তিনি একজন প্রবাদপ্রতিম রাষ্ট্রনায়ক ও সুশাসক ছিলেন। জাপান ও গোটা বিশ্বের উন্নতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তিনি।”

উল্লেখ্য, কৌশলগত দিক থেকে আবে অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন বলেই মত বিশ্লেষকদের। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে ‘কোয়াড’ বা চতুর্দেশীয় অক্ষ তৈরির পরিকল্পনা ছিল আবের মস্তিস্কপ্রসূত। ২০০৬-০৭-এ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় কোয়াড তৈরির উদ্দেশ্যে প্রথম বৈঠক করেন আবে। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বছর। শুরুর দিকে আবের ‘চিন উদ্বেগ’-কে ততটা গুরুত্ব না দিলেও ধীরে ধীরে আমেরিকা বুঝতে পারে যে সাগর পারে ‘লাল দৈত্য’ ক্রমে জেগে উঠছে।

[আরও পড়ুন: দলাই লামাকে শুভেচ্ছা জানানোয় মোদিকে কটাক্ষ চিনের, খোঁচা আমেরিকাকেও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement