সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের পূর্ব প্রান্তে ভারত-চিন সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত। অরুণাচল প্রদেশের অঞ্জাও জেলায় এদিন সেনা সরানোর কথা জানা গিয়েছে। সরকারি সূত্রে এমনটা জানা যাচ্ছে বলে দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। অরুণাচল প্রদেশে সামরিক বাহিনীর নয়া ফর্মেশন বা ইউনিট ট্রান্সফারের কথাও প্রকাশ্যে এসেছে। গত জুন থেকেই লাদাখে দুই দেশের সীমান্তে সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। জুন মাসের ওই সংঘর্ষ গত কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে হওয়া অন্যতম তীব্র সংঘর্ষ। তারপর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে সীমান্তে। মাঝে প্রায় মাসখানেক সেই উত্তেজনা খানিকটা কমলেও গত সপ্তাহ থেকে ফের সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের পর থেকেই চড়েছে উত্তেজনার পারদ।
[আরও পড়ুন: আলোচনার মাঝেই ফের ভারতের জমি দখলের চেষ্টা চিনের, রুখল ভারতীয় সেনা]
গত আগস্টেই সিডিএস বিপিন রাওয়াত জানিয়েছিলেন, যদি মৌখিক আলোচনায় কাজ না হয় তাহলে পেশীশক্তিতেই কথা হবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে বিপিন রাওয়াতের ওই দাবি ঘিরে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল কৌশলে বদল আনতে পারে ভারত। সেই থেকেই জল্পনা ক্রমশ বেড়েছে। ক্রমশ তৈরি হয়েছে যুদ্ধের পরিস্থিতি। লাদাখ নিয়ে রাশিয়া সফরে যাওয়ার আগে বৈঠক করেছেন রাজনাথ সিং। সেই বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন অজিত দোভাল ও বিপিন রাওয়াত। ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও। লালফৌজের মোকাবিলা করতে আগামী পদক্ষেপ আলোচনা হয় সেই বৈঠকে।
গত কয়েক দিন ধরেই লাদাখের প্যাংগংয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে চিনের সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাতেও চুমার এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় লালফৌজ। তবে সে চেষ্টা প্রতিরোধ করতে সমর্থ হয়েছে ভারতীয় সেনা। গত মার্চ থেকেই লাদাখ সীমান্তে বারবার উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। চিনের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রমের চেষ্টার অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। তবে জুনের সংঘর্ষের পরে পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হলেও আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকেই উত্তেজনার পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। এই বিষয়ে দু-দেশের সেনাকর্তাদের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে সম্প্রতি। তবু কমেনি উত্তেজনা। বরং ক্রমেই যেন যুদ্ধের পরিস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে মোতায়েন হবে শতাধিক রকেট লঞ্চার, দেশীয় তিন সংস্থাকে ২৫০০ কোটির বরাত]
The post আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন, সীমান্ত রক্ষায় অরুণাচলে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.