সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর আমলে দেশ ছেড়েছেন বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিরা (Nirav Modi)। ব্যাংকগুলির হাজার হাজার কোটির বকেয়া আদায় করা সম্ভব হয়নি। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংযুক্তিকরণ এবং বেসরকারিকরণের নেপথ্যে তিনিই। অথচ সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করলেন, দেশের ব্যাংককিং ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার নেপথ্যে দায়ী পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার।
পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের মুখে এদিন ফের রোজগার মেলার আয়োজন করেছিল কেন্দ্র। সেই সভা থেকে ফের নাম না করে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি (Narendra Modi) বলেন,”আগের সরকারের আমলে আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর বিরাট ধাক্কা খেয়েছে। আজ আমরা ডিজিটাল লেনদেন করতে পারি। কিন্তু ৯ বছর আগে ১৪০ কোটি মানুষ ফোন ব্যাংকিং থেকে বঞ্চিত ছিল।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আগের সরকারের আমলে ফোন ব্যাংকিং কেলেঙ্কারি অন্যতম বড় কেলেঙ্কারি ছিল। আগে বড় বড় পরিবারের ঘনিষ্ঠরা স্রেফ ফোন করেই কোটি কোটি টাকা ঋণ পেয়ে যেতেন।”
[আরও পড়ুন: বেন্ড ইট লাইক মেসি, অভিষেক ম্যাচে গোল করলেন, মায়ামিকে জেতালেন এলএম ১০, দেখুন ভিডিও]
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ”আগের সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি বিরাট লোকসান এবং NPA’র জন্য পরিচিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যাংকগুলিই আজকের সরকারের আমলে বিরাট লাভের মুখ দেখছে।” রোজগার মেলার (Rozgar Mela) মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি দাবি করেন,”আজ ভারতের ব্যাংকিং সেক্টর গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। আজ সব বিশেষজ্ঞই বলছেন, আগামী কয়েক বছরে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। জনগণ ভারতকে উন্নত দেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছে।”
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা তৃণমূলের, শাহ-নাড্ডার কাছে নালিশ সুকান্তর]
উল্লেখ্য, এদিনের রোজগার মেলা থেকেও প্রধানমন্ত্রী ৭০ হাজারের বেশি যুবক-যুবতীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। মোট ৪৪ জায়গায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রের দাবি, এই রোজগার মেলার মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। বস্তুত আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে বেকারত্ব ইস্যুকে ভোঁতা করতে চাইছে কেন্দ্র। যদিও বিরোধীদের দাবি, স্রেফ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে শূন্যপদ প্রায় ৩১ লক্ষ। অথচ কেন্দ্র সামান্য কিছু নিয়োগ করে দেখনদারি করছে।