সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতিতে মন্দার মেঘের মাঝেও কিছুটা আশার আলো দেখাল বিশ্বব্যাংক৷ এক রিপোর্টে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে। নয়ের দশক থেকে ভারতে দারিদ্রের হার অর্ধেক কমেছে৷
সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ১৯৯০ সালের পর থেকে দারিদ্রের হার প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পেরেছে ভারত। গত ১৫ বছরে এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে। এই দেড় দশকে বাৎসরিক বৃদ্ধির হার গড়পড়তা ৭ শতাংশের কিছু উপরে ছিল। সেটাই দারিদ্র কমাতে অনুঘটকের কাজ করেছে। পাশাপাশি দরিদ্র দূর করতে মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা নিয়েছিল বৃদ্ধির এই হার। তবে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে সদর্থক বার্তা পেলেও, মন্দার মারে ভাল ভারতীয় অর্থনীতি৷ ইতিমধ্যেই ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে উদ্বেগজনক পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। ২০২০ সালের মধ্যেও ভারত ৭ শতাংশের দোরগোড়ায় পৌঁছতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আইএমএফ। আর এই আশঙ্কা সত্যি হলে চরম দারিদ্র দূরীকরণে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে ভারতকে।
[আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই জ্বর সারানোর উপায় বাতলেছিলেন নোবেলজয়ী]
অর্থনীতিবিদর মনে করছেন, দারিদ্রের হার আরও কমাতে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে৷ নিজেদের রিপোর্টে একই কথা বলেছে বিশ্বব্যাংকও৷ প্রতিষ্ঠানটি সাফ জানিয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির হারকে স্থিতিশীল রাখতে ভারতের মতো বৃহৎ জনংখ্যার দেশকে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে হবে৷ বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী, শহর ও মফস্বলের পতিত জমিকে উৎপাদনের উপযোগী করে তুলতে হবে। গ্রামীণ এলাকায় কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে। এর জন্য সেচ পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এরই পাশাপাশি, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার দ্রুত বাড়াতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে জাতীয় উৎপাদনের ৮.৮ শতাংশ লগ্নির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সমান্তরালভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির আধুনিকীকরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতেও জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের কর্তারা।
[আরও পড়ুন: অযোধ্যার ৫০০ বছরের পুরনো বিবাদের ইতিবৃত্ত পড়ুন এক নজরে]