সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারধাম যাত্রা (Char Dham yatra) স্থগিত রেখেছে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট (Uttarakhand High Court)। কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে পুজোর লাইভস্ট্রিম করার কথা জানিয়েছে আদালত। কিন্তু এরই বিরোধিতা করেন সরকারের প্রধান আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, লাইভস্ট্রিমে সম্ভবত রাজি হবেন না মন্দির কর্তৃপক্ষ। কেননা শাস্ত্রে এর অনুমোদন নেই। এর জবাবে আদালত জানিয়ে দিল, গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে আইনের অনুশাসন রয়েছে, শাস্ত্রের নয়।
সীমিত সংখ্যক তীর্থযাত্রীকে চারধাম যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে। রাজ্যের মন্ত্রিসভার এমন সিদ্ধান্তে গত ২৮ জুন স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাই কোর্ট। বরং পুজোর লাইভস্ট্রিমিং হতে পারে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। অবশেষে অ্যাডভোকেট জেনারেল এসএন বাবুলকারের বক্তব্য খণ্ডন করে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি আরএস চৌহান ও বিচারপতি অলোক কুমারের বেঞ্চ। পালটা প্রশ্ন তোলে, তথ্যপ্রযুক্তিতে এমন আইন কোথায় আছে যে মন্দিরে হওয়া পুজোর লাইভস্ট্রিমিং করা যাবে না? সেই সঙ্গে আদালত এও মনে করিয়ে দেয়, আদালতে কোনও ধর্মীয় বিতর্ক চালানোর অনুমতিও দেওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: Cabinet reshuffle: কোন মন্ত্রীর পদোন্নতি, কাদের গুরুত্ব কমল? রইল তালিকা]
তার আগে এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, লাইভস্ট্রিমিং করা যাবে কিনা সেব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেবস্থানম বোর্ড। সেই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, মন্দিরের বেশ কয়েকজন পুরোহিত জানিয়েছেন, এভাবে পুজো লাইভস্ট্রিমিং করা যাবে না। তখনই আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, যদি লাইভস্ট্রিমিং করতে রাজি না হন পুরোহিতরা, তাহলে তাঁদের ব্যাখ্যা করতে হবে শাস্ত্রে কোথায় বলা আছে, লাইভস্ট্রিমিং করা যাবে না?
এদিকে উত্তরাখণ্ড সরকার এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন জমা করেছে। প্রসঙ্গত, গত বছরও করোনা সংক্রমণের জেরে বাতিল করার কথা হয়েছিল চারধাম যাত্রা। পরে অবশ্য অনুমতি দেয় সরকার। একাধিক নিয়ম মেনে পুণ্যার্থীদের চারধাম যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার আর সেই অনুমোদন মেলেনি। এর আগে কুম্ভমেলাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মেলা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। উত্তরাখণ্ডে করোনার অ্যাকটিভ কেস বিপুল পরিমাণে বেড়ে যায়। এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ খানিক স্তিমিত হলেও সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাই কোর্ট।