সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬০ বছরে পা রাখলেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এই সিডনি গ্রাউন্ডেই চারশো উইকেট তুলেছিলেন কপিল। আর সিডিনিকে এত ভালবাসতেন ব্রায়ান লারা, যে নিজের মেয়ের নাম রেখেছিলেন ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামেই। সেই সিডনিতে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সামনে টিম ইন্ডিয়া। ৩১ বছর আগে সিডনিতেই অধিনায়ক অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বে ঘরের মাঠে ফলো অন খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ড্র হয়েছিল ডেভিড বুনের ১৮৪ রানের ইনিংসে। বর্ডারের নামাঙ্কিত টেস্ট সিরিজেই এবার তৈরি হল ইতিহাস। বিরাটের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়াকে ফলো অন দিল ভারত। হয়তো সব সমাপতন। সেবার বুনের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া হার বাঁচিয়েছিল। আর এবার বিরাটদের বাধা প্রকৃতি। অভিশপ্ত হলেও শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়াকে বাঁচিয়ে দিয়েছে সিডনি। এবার সব ঠিক থাকলে ভারতের কাছে সুযোগ বেশি। প্রথম অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জেতার সুযোগ অধিনায়ক বিরাটের কাছে। তবু আবহাওয়ার রহস্যে ড্রয়ের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
[কুলদীপের পাঁচ উইকেট, ৩১ বছর পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ফলো অন ভারতের]
অস্ট্রেলিয়া সফরে কোনও ভারত অধিনায়ক সিরিজ জিতে ফিরতে পারেননি। এবার অস্ট্রেলিয়া টিম অত্যন্ত দুর্বল। কিন্তু রেকর্ড তো রেকর্ডই। বিরাটের নামের পাশে সেই বিরল কীর্তিতে ইতিহাস তৈরি হবে। অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নে জয়ের পর সিডনিতে জয়ের অপেক্ষা। শেষবার ১৯৮৮ সালে ঘরের মাঠে ফলো অন খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেবার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের সঙ্গে একটি মাত্র টেস্ট ছিল। আর সেটি হয়েছিল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক গেটিং। স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৪২৫ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২১৪ রানে। তৎকালীন অস্ট্রেলিয়া টিমের অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার। কিন্তু ফলো অন খেয়ে ঝলসে ওঠেন অজি ওপেনার ডেভিড বুন। ১৮৪ রানের ইনিংস আসে তাঁর ব্যাট থেকে। দুই উইকেটে ৩২৮ রানে তোলে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। অ্যালান বর্ডার সেবার ফলো অন খেয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। এরপর ২০০৫ সালের অ্যাসেজ সিরিজে একবার ফলো অন খায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডে। তারপর এতবছর ধরে কোনও টেস্ট সিরিজে ফলো অন খায়নি অস্ট্রেলিয়া।
[চিতাবাঘ শচীনকে নিয়ে এ কী টুইট করলেন সৌরভ!]
অভিশপ্ত সিডনি, বর্ডারের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার ফলো অন, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। সব একসঙ্গে এসে গেলেও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ফলো অন করিয়েও খারাপ আলোর জন্য কোনও লাভ হল না ভারতের। তাড়াতাড়ি চা-বিরতি দিয়েও খেলা শুরু করা যায়নি। এদিকে বিরাটের প্রশংসা করলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর। তিনি বলেন, “অধিনায়ক হিসেবে আমার মনে এখনও কিছু চিন্তা আছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াতে যা হল, তারপর প্রাথমিকভাবে আর কিছু বলার নেই। ও খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু শিখে নিতে পারে। এভাবে এগোতে থাকলে দেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের নাম উঠে আসবে। টিমের ক্রিকেটাররা সবটুকু পারফরম্যান্স করেছে। ভারত ভাল খেলেছে।” হাতে বাকি একদিন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেট ও ৩১৬ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার যদি খেলা সম্ভব হয়, তবেই জয় সম্ভব। তাই আশঙ্কার মেঘ ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
The post ‘অভিশপ্ত’ সিডনিতে ইতিহাসে বিরাট ব্রিগেড, আশঙ্কার ‘মেঘ’ আবহাওয়া appeared first on Sangbad Pratidin.