সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্রে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিতে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এর মাধ্যমে দুই বন্ধু দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করল ভারত বলেই মত বিশ্লেষকদের। কিন্তু এই মহড়ায় চিনের (China) অংশগ্রহণে কিছুটা অস্বস্তিতে নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে আমেরিকা! বিধ্বস্ত বিদ্যুৎহীন টেক্সাসে মৃত অন্তত ২১]
সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে ভারত মহাসাগরের উত্তরে যৌথ মহড়া শুরু করেছে ইরান ও রাশিয়া। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইরান-রাশিয়া মেরিটাইম সিকিউরিটি বেল্ট ২০২১’। এই বিষয়ে ইরানি নৌসেনার মুখপাত্র গোলাম রেজা তাহানি জানান, রুশ ও ইরানি রণতরীগুলির সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। তিনি বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সামরিক মহড়ার প্রক্রিয়াটি এতটাই সহজ যে চাইলেই একাধিক দেশ এতে অংশ নিতে পারে।” এই নৌ-মহড়ায় চিনও যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন ইরান নৌসেনার কমান্ডার হোসেন খানজাদি। ইঙ্গিতে আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “এতদিন পর্যন্ত যারা এই অঞ্চলে একচ্ছত্র শাসন চালিয়েছে এবার তাদের বুঝতে হবে সেই জায়গা ছাড়ার সময় এসেছে।”
নৌসেনা সূত্রে খবর, সমুদ্রে প্রায় ১৭ হাজার স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলবে নৌ-মহড়া। জলদস্যুদের হাতে অপহৃত জাহাজ মুক্ত করার কৌশল ঝালিয়ে নেওয়া হবে। পাশাপাশি, সমুদ্রে ও আকাশে নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানার প্র্যাকটিসও করা হবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নৌ-মহড়ায় চিনের উপস্থিতি ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। কারণ, লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসনের পর এবার চিনা বাহিনীর সঙ্গেই সামরিক মহড়া চালানো নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এছাড়া, ভারত মহাসাগরে প্রতিপত্তি বজায় রাখতে মরিয়া আমেরিকা। বেজিং, তেহরান ও মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এহেন পরিস্থিতিতে ইরানের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত নৌ-মহড়ায় অংশ নিয়ে মার্কিন রোষানলে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে ভারতের।