সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন করে ভাইরাসের দাপট দেখা দিলেও ভারতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। সেই কারণেই আগামী ৩১ মার্চের পর থেকে কোভিড সংক্রান্ত প্রায় সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও চিন্তা কমছে না মৃত্যুহার নিয়ে। বেশ কয়েকটি রাজ্য একসঙ্গে পুরনো রেকর্ড জমা দেওয়ায় একলাফে অনেকটা বাড়ল মৃতের সংখ্য়া।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৬০ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম। তবে দেশে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৪১। আপাতত দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার ০.০৪ শতাংশ। তবে করোনা এখনও কেড়ে চলেছে সাধারণ মানুষের প্রাণ। রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১০০ জন। তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যের পুরনো রেকর্ডও শামিল। ফলে দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৮৫৫ জনে।
[আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য]
তবে এসবের মধ্যেও স্বস্তিজনক দেশের সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৩৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ২৪৯ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮২ কোটি ৮৭ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ২৯ লক্ষের বেশি। দেশজুড়ে চলছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। বুস্টার ডোজ পাচ্ছে ষাটোর্ধ্বরাও।
টিকাকরণে জোর দেওয়ার পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে প্রতিটি রাজ্যকেই কোভিড পরীক্ষায় জোর দিতে বলা হয়েছে। গতকাল দেশে ৬ লক্ষের ৫৮ হাজার ৪৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।