ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: যত চিন্তা পূর্ব এশিয়ায়। বিশেষ করে চিন লাগোয়া ছ’টি দেশের ওমিক্রনের তুতোভাই বিএফ.৭-কে নিয়ে। আর তাই নতুন বছরে নতুন করে জারি হল নির্দেশিকা।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এর। তাই চিন, সিঙ্গাপুর, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড আর জাপান থেকে আগত যাত্রীদের আরটি-পিসিআর (RT-PCR) নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। এই নিয়ম ক’দিন আগেই চালু করেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু ওই নির্দেশ যথেষ্ট বলে মনে করছে না কেন্দ্র। তাই সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক নতুন নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে আগত যাত্রী, যাঁরা এই ছ’টি দেশ ট্রানজিট উড়ান মারফতও ছুঁয়ে আসবেন, তাঁদেরও ভারতীয় কোনও বিমানবন্দরে নামতে হলে, আরটি-পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। এর পরেও ২% যাত্রীর র্যান্ডম টেস্ট হবে।
[আরও পড়ুন: বছরের পর বছর সরকারি হাসপাতালে গরহাজির ২৫২ ডাক্তার, কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্যদপ্তরের]
একটা সময় ছিল, যখন আন্তর্দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক বিমানে ওঠার আগে সমস্ত যাত্রীকেই আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হত। নাহলে জমা করতে হত এয়ার-সুবিধা পোর্টালে। কিন্তু করোনার চোখ রাঙানি কমতে ধীরে ধীরে শিথিল হয় সেসব নিয়ম। পরবর্তীকালে অতিমারীর প্রকোপ অনেকটাই দূর হয়ে যাওয়ায় সেই নিয়মও উঠে যায়। কিন্তু এখন ওমিক্রনের বিএফ.৭ উপ-প্রজাতির দাপাদাপি শুরু হয়েছে চিন, জাপান-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে। তাই সেই সব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের তো বটেই, ওই সব দেশ ট্রানজিট উ়ড়ানে ছুঁয়ে আসা যাত্রীদের জন্যও একই নিয়ম সোমবার থেকে চালু করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অর্থাৎ গন্তব্য ওই ছ’টি দেশ না হলেও যদি ওই দেশগুলির কোনও শহরে বিমান অবতরণের পর ফের যাত্রা শুরু করে, তাহলেও আরটি-পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে।
এই মর্মে এদিন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের সচিব রাজীব বনশলকে একটি চিঠিও দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব লব আগরওয়াল। তবে শুধু সার্টিফিকেট থাকলেই হবে না। এর পরেও ভারতীয় বিমানবন্দরে অবতরণ করা যাত্রীদের মধ্যে ২ শতাংশের র্যান্ডম আরটি-পিসিআর টেস্ট হবে।