সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেডলাইনের আগেই মার্কিন সেনা সরতে6 আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা (Taliban)। পঞ্জশির বাদে গোটা দেশই তালিবদের হাতে চলে গিয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তালিবান সরকার গঠনের তোড়জোড়ও। এই পরিস্থিতিতে তালিবান প্রসঙ্গে মুখ খুলল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।
তালিবানের সঙ্গে আর কোনও ধরনের বৈঠক হবে কি না, কোনও আলোচনায় বসা হবে কি না, সে বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে তবেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র (MEA Spokesperson) অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi)৷ তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে যাতে কোনও ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপ না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করাই ভারতের (India) প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি আফগানিস্তানে (Afghanistan) কী ধরনের সরকার গঠন হচ্ছে, সে বিষয়েও তাঁর কোনও ধারণা নেই৷ অরিন্দম বাগচির কথায়, “ওখানে কোন সরকার গঠিত হচ্ছে, কীভাবে তা গঠন করা হচ্ছে, সেই সম্পর্কে কিছুই জানি না।” দোহায় তালিবান প্রতিনিধির সঙ্গে সম্প্রতি ভারতীয় দূতের যে বৈঠক হয়, সেখানে এ বিষয়ে কোনও খবর তাঁর কাছে নেই বলেই জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র৷
[আরও পড়ুন: WB By-election: উপনির্বাচনের তোড়জোড় শুরু, শুক্রবারই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ!]
এদিকে, দোহায় তালিবানের সঙ্গে ভারতীয় দূতের বৈঠকের পর এ বিষয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা৷ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে ওমর আবদুল্লা বলেন, আফগানিস্তান (Afghanistan) এবং তালিবানকে নিয়ে কেন্দ্রের নীতি কী, সে বিষয়ে খোলসা করা হোক। তিনি বলেন, তালিবান যদি জঙ্গি সংগঠন না হয়, তাহলে আপনারা কি রাষ্ট্রসংঘের কাছে যাবেন? রাষ্ট্রসংঘ যাতে তালিবানের নাম থেকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা সরিয়ে নেয়, সে বিষয়ে কি আবেদন করবেন?
ইতিমধ্যে খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানে (Afghanistan) সরকার গঠন হবে। দিনভর দফায় দফায় বৈঠকের পর এই বার্তা তালিবানের। এই ব্যাপারে তাদের ঐকমত্য হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে। মূলত মৌলবাদী নেতাদের কাছে টেনে সরকার গঠনে জোর দেওয়া হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদাকে মাথায় রেখে সরকার গঠন করা হবে। তার নিচে থাকবে বিলাল কারিমি, আবদুল গনি বরাদরের মতো নেতারা।