সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপুলায়তন সোভিয়েত ইউনিয়ন আর নেই। গান্ধী-সুভাষদের হাতে সাম্রাজ্য খুইয়ে ‘দ্য গ্রেট ব্রিটেন’ বিভ্রান্ত। দুর্নীতি ও নীতি বৈকল্যে ভুগছে রাশিয়া। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে এখন একমাত্র মহাশক্তি আমেরিকা। তবে ক্রমে ‘আঙ্কল স্যাম’কে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চিন। ঋণের ফাঁদ পেতে বহু দেশকে কার্যত কবজা করে ফেলেছে কমিউনিস্ট দেশটি। এবার শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সামিটে ভারতকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করল বেজিং। তবে সেই ছক বানচাল করে দিয়েছে কৌশলী দিল্লি।
গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নেতৃত্বে ভারচুয়াল বৈঠকে বসে এসসিও গোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে সামিটে অংশ নেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ-সহ অন্যান্যরা। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। সেখানেই অত্যন্ত কৌশলে ফাঁদ বিছিয়েছিল চিন। সম্মেলন শেষে যৌথ ঘোষণাপত্রে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের প্রতি সব সদস্যের সম্মতি রয়েছে বলে একটি অনুচ্ছেদ রাখা হয়। কিন্তু বেজিংয়ের কৌশল বুঝতে পেরে তীব্র আপত্তি জানায় নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: গুলির লড়াইয়ে খতম ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান গ্যাংস্টার, কে মারল ধন্ধে পুলিশ]
বলে রাখা ভাল, ২০০১ সালে শাংহাইতে এসসিও গঠন হয়। সদস্য- রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান ও কিরঘিজস্তান। ২০১৭ সালে জোটে যোগ দেয় ভারত ও পাকিস্তান। গতবছরের সেপ্টেম্বরে এক বছরের জন্য সমরকন্দ সামিটে সংগঠনটির চেয়ারম্যান পদে বসে ভারত। বিশ্বমঞ্চে ছাপ রাখতে এবারের এই সামিট মোদি সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেখানেই অর্থনৈতিক উপনিবেশবাদের দাঁও দেয় চিন। যদিও তা বুঝে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে পরিকাঠামো নির্মাণে ২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প শুরু করেছে চিন (China)। তারই অন্তর্গত পাকিস্তানে পরিকাঠামো নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে সিপিইসি প্রকল্প শুরু করে চিন। ওই প্রকল্পের অন্তর্গত তৈরি একটি সড়ক গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) মধ্যে দিয়ে। আর তাতেই ঘোর আপত্তি ভারতের। এহেন পদক্ষেপ দেশের সর্বভৌমত্বে আঘাত বলেই স্পষ্ট বয়ান নয়াদিল্লির।