সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে ‘ওমিক্রন’। আগামী বছরের গোড়ার দিকেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তার মধ্যেও অনেকটা স্বস্তিজনক দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানে অন্তত সে প্রমাণই পাওয়া যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজারেরও কম। গত ৫৫৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ভারতের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ৮২২ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। এরই মধ্যে অবশ্য চিন্তা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ইতিমধ্যেই মিলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ। তারই মধ্যে এবার জানা গেল, বিদেশ থেকে ফেরা একশোরও বেশি যাত্রীকে ট্রেস করা যাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, থানে জেলায় ফেরা ১০৯ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেরই মোবাইল সুইচড অফ। এমনকী তাঁদের তরফে দেওয়া ঠিকানাতেও পাওয়া যাচ্ছে না বিদেশ ফেরত ওই যাত্রীদের।
এদিকে মারণ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ২২০ জন। অর্থাৎ এখনও এই ভাইরাস যে মারাত্মক শক্তিশালী, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এখনও পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৫৭ জন। তবে প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ৯৫ হাজার ১৪ জন। গত ৫৫৪ দিনে যা সবচেয়ে কম। ধীরে ধীরে বাড়ছে সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬১২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪ জন।
টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই করোনা যুদ্ধে এগোনোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১২৮ কোটি ৭৬ লক্ষেরও বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৭৯ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১০ লক্ষের ৭৯ হাজার ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।