সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের আমেজ কাটতে না কাটতেই নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মারণ করোনা ভাইরাস। দিওয়ালির আগে ফের ভয় ধরাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। দেশে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে এবার চিঠি দিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উৎসবে লাগাম টানার নির্দেশ দিল মোদি সরকার।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৯০৬ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের থেকে সামান্য কম হলেও সার্বিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে চিন্তা বাড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্র, কেরলের মতো রাজ্যে কোনওমতেই বাগে আনা যাচ্ছে না করোনাকে। উৎসবের মরশুমে বাংলাতেও বেড়েছে সংক্রমণ। এদিকে গতকাল ও আজ দেশে মৃতের সংখ্যা পাঁচশোর গণ্ডি পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ৫৬১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৬৯ জন।
[আরও পড়ুন: লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, কলকাতায় পেট্রল ছাড়াল ১০৮ টাকা, সেঞ্চুরির পথে ডিজেলও]
বিশেষজ্ঞরা আগেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন। সেই পরিস্থিতি যদিও এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। দেশের সার্বিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি নিম্নমুখী করোনার অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৯৪ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬০৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৭৯ জন। উদ্বেগের মধ্যেও করোনা মোকাবিলায় শক্তি জোগাচ্ছেন এই করোনাজয়ীরাই।
ভাইরাস রুখে দিতে টিকাকরণকেই মূল হাতিয়ার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১০২ কোটি ১০ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৫৮ জন করোনার টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৭৭ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১৩ লক্ষ ৪০ হাজার ১৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
এদিকে সংক্রমণে লাগাম টানতে শনিবারই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি দিয়ে বলা বলেন, যে সমস্ত এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়ে এবং যে জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি, সেখানে কোনও জমায়েত করা যাবে না। উৎসবের জন্য মানুষ ভিড় জমালে দূরত্ববিধি-সহ কোভিডের সমস্ত নিয়ম পালন করা হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে হবে। মানুষের অকারণ ভ্রমণে রাশ টানতে হবে। বাজারে ভিড় না জমিয়ে অনলাইন শপিংয়ে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিতে হবে প্রশাসনকে।