সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় এক বছর কেটে গেলেও মারণ ভাইরাসের স্বভাব-চরিত্র বোঝাই দায়। কখনও তার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় তো কখনও তা হয়ে যায় লাগামছাড়া। ইতিমধ্যেই দেশে ছড়িয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেনের আতঙ্ক। আর তার মধ্যেই ভারতে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ফলে টিকাকরণের মাঝেও বাড়ছে উদ্বেগ।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ হাজার ৯২১ জন করোনা (Corona virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। এর জেরে দেশে মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হল ১ কোটি ১২ লক্ষ ৬২ হাজার ৭০৭ জন। সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের। সেখানে একদিনে আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গত কয়েকদিন ধরেই আবার দেশে বাড়ছিল অ্যাকটিভ কেস। যদিও এদিনের ছবিটা সামান্য আলাদা। ২৪ ঘণ্টায় অ্যাকটিভ কেস অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৯৮ জন।
[আরও পড়ুন: ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না’, কৃষি আইন বিতর্কে ব্রিটেনকে কড়া বার্তা ভারতের]
যদিও ভ্যাকসিন আসার পরও করোনা কেড়ে চলেছে বহু মানুষের প্রাণ। ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। গতকাল যে সংখ্যাটা ছিল ৭৭। এখনও পর্যন্ত মারণ ভাইরাসে দেশে প্রাণ গিয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৩ জনের। এসবের মধ্যেও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। দেশে ১ কোটি ৯ লক্ষ ২০ হাজার ৪৬ জন করোনা মুক্ত হয়ে উঠেছেন। যাঁদের মধ্যে গত একদিনে সুস্থ ২০ হাজার ৬৫২ জন।
এদিকে, প্রথম পর্যায়ে নির্ধারিত গতির তুলনায় টিকাকরণ খানিকটা স্লথ হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে জোরকদমেই চলছে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই ২ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে একইসঙ্গে করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। দেশকে দ্রুত করোনামুক্ত করে তোলার জন্য প্রত্যেককে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।