সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্ক কেন্দ্র সরকার। সংক্রমণ ঠেকাতে যেমন জোর দেওয়া হচ্ছে কোভিডবিধিতে, তেমনই গতি বাড়ছে টিকাকরণের। আর সেই সুবাদেই গত কয়েকদিন ধরে কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩১ হাজার ৩৮২ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। তবে চিন্তায় রাখছে মহারাষ্ট্রের করোনা গ্রাফ। একদিনে দেশে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা বলি ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৬৮ জন।
[আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলার সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর]
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের কমল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৬২ জন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৭৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪২ জন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আগস্টের শেষে যেখানে আর ভ্য়ালু ছিল ১.১৭, সেখানে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সেই পরিমাণ কমে হয় ০.৯২। অর্থাৎ একজন করোনা আক্রান্তের সংক্রমিত করার হার কমেছে। তৃতীয় ঢেউ রুখতে বদ্ধপরিকর সরকার তাই উৎসবের মরশুমে কড়া বিধিনিষেধ জারি করার পথে।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াসও জারি রয়েছে দেশজুড়ে। এখনও পর্যন্ত ৮৪ কোটি ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায়। যার মধ্যে গতকালই টিকা পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭২ লক্ষের বেশি নাগরিক। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৯৬ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।