সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোর গোড়ায় করোনার তৃতীয় ঢেউ। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় সব রাজ্যেই জারি কড়া বিধিনিষেধ। তবে এসবের মধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস নতুন করে চিন্তায় ফেলছে। কোভিডে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর হাসপাতালের বেড এবং অক্সিজেনের কীভাবে হাহাকার পড়েছিল, তা ভোলেনি দেশ। আর সেই কারণেই নতুন করে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪২ হাজার ৬১৮ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম। সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি কেরলের। একদিনে সেখানে সংক্রমিত ২৯ হাজারেরও বেশি। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯০৭। একদিনে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা বলি ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ২২৫ জন।
[আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানের মানুষ খুশি, তালিবান বিপ্লবী’, জঙ্গিদের পক্ষে সওয়াল কংগ্রেস বিধায়কের]
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ কমলেও বাড়ল অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৬৮১ জন। সক্রিয় রোগীর ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফই যেন তৃতীয় ঢেউয়েই বার্তা বয়ে আনছে। তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ২১ লক্ষ ১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৩৮৫ জন।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। দেশে এখনও পর্যন্ত দেশে সাড়ে ৬৭ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে গতকালই টিকা পেয়েছেন ৫৮ লক্ষ ৮৫ হাজারের বেশি। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৭ লক্ষ ৪ হাজার ৯৭০ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।