সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বিরুদ্ধে শক্ত হাতে ব্যাটিং করে চলেছে ভারত। ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হলেও স্বস্তি দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হারও। একদিকে যেখানে আগস্টেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, সেখানে টিকাকরণে জোর দিয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস চলছে সর্বত্র।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৩ হাজার ৭৭৩ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। ১১ দিন পর গতকাল যে সংখ্যাটা নেমেছিল ৩৫ হাজারের নিচে। তবে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, বাংলা-সহ বেশিরভাগ রাজ্যে আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৬৫। গতকালের থেকে অনেকটাই বাড়ল মৃত্যুও। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৩০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ৪ হাজার ২১১ জন।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য, কাশ্মীরে খতম হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার]
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে হল ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯২০ জন। সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ২৪০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৩৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭.১৮ শতাংশ।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। তবে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ দিল্লির এক হাসপাতালের গবেষণায় ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার চেয়ে আট গুণ বেশি শক্তিশালী এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। তাই জোড়া ডোজের পরও বিশেষ সতর্কতা জরুরি। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩৬ কোটি লক্ষেরও বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৯ লক্ষ ৭ হাজার ২১৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।