সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইশ গজে বল গড়ানোর আগে থেকেই চর্চায় জোহানেসবার্গ টেস্ট। পিঠের ব্যথায় কাবু বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ছিটকে গেলেন। তাঁর বদলে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড উঠল লোকেশ রাহুলের হাতে। বিরাট কোহলির জায়গায় দলে ঢুকলেন হনুমা বিহারী।
সোমবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লোকেশ রাহুল (Lokesh Rahul)। কিন্তু ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হল ২০২ রানে। অধিনায়ক রাহুলই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন। তাঁর ৫০ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪৬ রান করেন। বাকিদের ব্যর্থতায় পুরো একদিনও টিকল না ভারতের ব্যাটিং। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে কাগিসো রাবাদা ৩টি, অলিভিয়ের ৩টি এবং জ্যানসেন ৪টি উইকেট নেন।
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন পাকিস্তানের তারকা মহম্মদ হাফিজ]
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ টস করতে মাঠে যান লোকেশ রাহুল ও ডিন এলগার। কোহলিকে দেখতে না পাওয়ায় সবাই ধরেই নেন তিনি এই টেস্টে খেলছেন না। লোকেশ রাহুল টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
পরে রাহুল জানান, ”কোহলি পিঠের ব্যথায় কাবু।” কোহলি সরে যাওয়ায় ক্যাপ্টেন্সির আর্মব্যান্ড চলে আসে রাহুলের হাতে। একেবারেই আচম্বিতে পাওয়া এই নেতৃত্ব প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ”প্রতিটি ভারতীয় ক্রিকেটারই দেশের অধিনায়ক হতে চান। আমরা প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে চাই। তার পরে প্রতিপক্ষের উপরে চাপ তৈরি করতে চাই।” কিন্তু ২০২ রানের পুঁজি নিয়ে ভারত কি এই টেস্টে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলতে পারবে?
লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল ওপেনিং জুটিতে ৩৬ রান করেন। তার মধ্যে মায়াঙ্কই করেন ২৬ রান। তিন নম্বরে নামা চেতেশ্বর পূজারা ফের ব্যর্থ। মাত্র ৩ রান করেন তিনি। রাহানে খাতাই খোলেননি। দুই ব্যাটসম্যান লাগাতার ব্যর্থ হচ্ছেন। তাঁদের এই ব্যর্থতা দেখে দেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার সুনীল গাভাসকর পর্যন্ত বলেছেন, নিজেদের টেস্ট কেরিয়ার বাঁচাতে রাহানে এবং পূজারা হয়তো পাবেন কেবল দ্বিতীয় ইনিংস। তাঁদের ভবিতব্য কী, তা সময়ই বলবে।
কোহলির পরিবর্ত হিসেবে নামা হনুমা বিহারী ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। একের পর এক ব্যাটসম্যান চলে গেলেও লোকেশ রাহুল কিন্তু দায়িত্ববোধেরই পরিচয় দিচ্ছিলেন। ৫০ রান করে তিনি ফিরে যান জ্যানেসেনের বলে। ঋষভ পন্থও (১৭) দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠতে পারেননি। অশ্বিন ব্যতিক্রম। ৪৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেন ভারতের অফস্পিনার। অশ্বিন অর্ধশতরান পেলেন না ঠিকই কিন্তু দলের প্রয়োজনের সময়ে ওই লড়াকু ইনিংসটা না খেললে ভারত দুশো রানেও পৌঁছাত না। শার্দূল ঠাকুর (০), শামি (৯) ও সিরাজ (১) দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ভারত থেমে যায় ২০২ রানে। সেঞ্চুরিয়নে জিতে তিন টেস্টের সিরিজ শুরু করেছে ভারত। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) যে সমতা ফেরাতে চাইবে সেকথা বলাইবাহুল্য।
[আরও পড়ুন: রনজি ট্রফির আগে করোনার থাবা বঙ্গ ক্রিকেটে! ক্রিকেটার, স্টাফ-সহ আক্রান্ত ৭]