নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। এই দাবি তুলে সোমবার সকাল থেকেই চাপ বাড়াল বিরোধী শিবির। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা শুরু করল INDIA জোটের শরিকরা। হাজির তৃণমূল সাংসদরাও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ দলের প্রায় সব সাংসদকেই দেখা গেল হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলতে। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়েই সরব তাঁরা।
অধিবেশনের শুরুতেই কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে INDIA জোট অর্থাৎ বিরোধী দলের সাংসদদের এই কর্মসূচি অনেক আগেই স্থির হয়ে ছিল। সেইমতো দলের নির্দেশ মেনে সোমবারের মধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ দেখা গেল সকলকেই। INDIA’র এই অবস্থান বিক্ষোভের নেতৃত্বে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। তিনি সকলকে রণকৌশল বুঝিয়ে দেন। বিরোধীদের মূল দাবি একটাই, লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত মুর্শিদাবাদে, বোমাবাজিতে হাত-পা উড়ল কংগ্রেস কর্মীর, উদ্ধার তাজা বোমাও]
তবে এই ধরনার আগেই আজ একেবারে সকালে বিরোধীদের আটকাতে বিজেপি সবার আগে ধরনা করে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। বাংলার বিজেপি সাংসদরাই (BJP MP) মূলত ছিলেন। সুকান্ত মজুমদার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, খগেন মুর্মুরাও বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে স্লোগান তোলেন। তবে তাঁদের নিশানায় ছিল মূলত মালদহে আদিবাসী মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা। তবে বিজেপির এই ধরনা তেমন দানা বাঁধতে পারেনি। উপস্থিতই ছিলেন না অধিকাংশ সাংসদ। আর তা নিয়ে হাসাহাসিও হয় বিরোধী মহলে।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট, ৮০ ঊর্ধ্ব ভোটারের তালিকা তৈরি করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন]
এদিন ধরনার শুরুতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে তোপ দেগেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ”মণিপুরের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে রাজস্থান, বাংলার প্রসঙ্গ তুলে আনছেন নেতা, মন্ত্রীরা। কিন্তু তাতে লাভ নেই। বাংলার সঙ্গে তুলনায় হয় না। বাংলায় কখনও ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি। মণিপুরে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কী ঘটছে, সকলেই তা বুঝতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন না। ২০২২-এর মধ্যে দেশের সবার মাথার উপর ছাদ থাকবে। কিন্তু এখনও কত মানুষ ছাদহীন। আর এদিকে কত টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। লজ্জায় মাথায় হেঁট হয়ে যায়।”