সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলনের আড়ালে ক্রমে বাড়ছে খলিস্তানিদের কার্যকলাপ। লালকেল্লায় বেনজির হিংসার নেপথ্যেও শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্র সরকার। তাই এবার দেশ বিরোধী কার্যকলাপ রুখতে আমেরিকার সাহায্য চাইল ভারত।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ইরানের, খতম অন্তত ৫০ সন্ত্রাসবাদী]
আমেরিকা ও কানাডায় বরাবরই সক্রিয় খলিস্তানি সংগঠনগুলি। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে ঠেকাতে আগেই আইনি বোঝাপোড়া হয়েছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে। তবে কৃষক আন্দোলনে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির হস্তক্ষেপে এবার কড়া অবস্থান নিল মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’র (SFJ) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে আমেরিকার কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছে কেন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, “শিখ সংগঠন SFJ’র জনমত নেওয়ার প্রক্রিয়ার (Punjab 2020 Referendum) বিষয়ে তদন্তে আমরা আমেরিকার কাছে আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছি। পারস্পরিক বোঝাপোড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে মার্কিন ন্যায়বিভাগের কাছে এই মর্মে সরাসরি আরজি জানানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ‘স্বাধীন খলিস্তানে’র দাবিতে ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে জনমত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’। খলিস্তান আন্দোলনের শিকড় অনেকটাই ছড়িয়ে রয়েছে কানাডায়। তবে সেবার ভারতের কূটনৈতিক চাপে, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বড় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দেশটি জনমত নেওয়ার প্রক্রিয়ার (Punjab 2020 Referendum) বিষয়টি উড়িয়ে দেয় ওটাওয়া। সেবার কানাডার বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়েছিল, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা নাক গলায় না। এছাড়া, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে তারা। তাই শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘স্বাধীনতার’ দাবিতে জনমত নেওয়ার বিষয়টিকে কানাডা কখনওই সমর্থন করবে না।