সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্দুক দেখিয়ে জোর করে এক শিখ মহিলার ধর্মান্তরের (Forcible conversion) অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এবার সেই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। বিষয়টির দিকে যে ভারত কড়া নজর রেখেছে তা পরিষ্কার করে দিল বিদেশ মন্ত্রক।
পাকিস্তানের পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বুনের জেলায় এক শিখ মহিলাকে বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করে তারপর ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে। গত ২২ আগস্ট সেদেশের ‘ন্যাশনাল মাইনরিটিস কমিশন’-এর প্রধান ইকবাল সিং লালপুরা চিঠি লেখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে। এই বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আরজিও জানান। অবশেষে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: বিপ্লবে মিশল ইরান-তুরস্ক, হিজাব কাণ্ডের বিরোধিতায় মঞ্চে চুল কাটলেন গায়িকা]
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেখানে পরিষ্কার বলা হয়, ভারত সরকারের আশা, এই ধরনের বিষয়গুলিতে পাক সরকার নজর দেবে এবং প্রয়োজনীয় কড়া পদক্ষেপ করবে। সেদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দিকে পাক প্রশাসনকে নজর রাখার আরজি জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নতুন ঘটনা নয়। বিশেষ করে সিন্ধ প্রদেশে জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনার খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। কখনও সেখানে হিন্দুদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, কখনও আবার মহিলাদের উপর হয় অকথ্য নির্যাতন। বাদ পড়েনি শিশুরাও। গত মার্চ মাসে ১৮ বছরের তরুণী পূজা কুমারীর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় পাকিস্তান। সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই হিন্দু তরুণীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপর তাঁর দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। অভিযোগ, ওয়াহিদ বক্স লাশারি নামের অভিযুক্ত পূজাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়াতেই সে খুন করে ওই তরুণীকে। এরপর গত জুনে সিন্ধ প্রদেশের কাজী আহমেদ শহরে অপহৃত হয় ১৬ বছরের করিনা। তাকে জোর করে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে।