সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী ইয়াসিন মালিকের সমর্থনে কথা বলায় মুসলিম দেশগুলির সবথেকে বড় সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন’-কে (OIC) তুলোধোনা করল ভারত। অত্যন্ত কড়া ভাষায় নয়াদিল্লির জানায়, ভারত বিরোধী কাজে লিপ্ত ইয়াসিন। তাকে সমর্থন জানিয়ে পরোক্ষে সন্ত্রাসবাদকেই মদত দিয়েছে ওআইসি।
গত বুধবার দিল্লিতে এনআইএ-র বিশেষ আদালত যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছে ইয়াসিন মালিককে। পাশাপাশি, বুধবার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টে’র (JKLF) প্রধানকে জঙ্গিদের অর্থসাহায্যের অপরাধে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। গত ১৯ মে মালিককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আদালতে নিজেই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন মালিক। শুধু তাই নয়, নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় বায়ুসেনার এক আধিকারিককেও খুন করে ইয়াসিন। এহেন জঙ্গিনেতার সাজা ঘোষণার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে পাকিস্তান। ভারতের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন’ (OIC)।
[আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসমুক্ত’ আফগানিস্তানের পক্ষে সওয়াল ডোভালের, চিন, রাশিয়া থাকলেও বৈঠকে নেই পাকিস্তান]
এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি সাফ করে দিয়েছে যে কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। শুক্রবার এই বিষয়ে ওআইসি-র প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীকে। মোদি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে মুসলিম দেশগুলিকে বাগচী বলেন, “সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে কথা বলবেন না। কোনওভাবেই জঙ্গিবাদকে মান্যতা দেওয়ার প্রয়াস করবেন না। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বাকি দুনিয়ার মতো ভারতও জিরো টলারেন্স নীতির পক্ষে।” তিনি আরও বলেন, “আদলতে ইয়াসিন মালিকের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাই এই বিষয়ে ওআইসি-র মন্তব্য একবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এহেন মন্তব্য করে পরোক্ষে মালিকের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপেই সমর্থন জানিয়েছে তারা। আমরা ওআইসি-র কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদকে মান্যতা দেওয়ার চেষ্টা না করে।”
উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানোর ও তা প্রচার করার অভিযোগ রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik) বিরুদ্ধে। এই কারণে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয় তাকে। বছর দুয়ের আগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকায় জোর ধরপাকড় শুরু করে ভারতীয় সেনা। তখনই ইয়াসিন মালিক-সহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার জঙ্গিযোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।