সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রাধান্য পেল সন্ত্রাসবাদ ইস্যু। সোমবার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে জেহাদি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত (India)।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের পরামর্শ উপেক্ষা করেই ভোটের ময়দানে রজনীকান্ত? জল্পনা তুঙ্গে]
২০১৭ সালে SCO-তে যোগ দেয় ভারত। ওই বছরই সদস্যপদ পায় পাকিস্তান। তারপর এই প্রথম এসসিও সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে নয়াদিল্লি। এদিনের ভারচুয়াল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। নিজের বক্তব্যে সীমান্তের অপর দিক থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের কথা তুলে ধরেণ তিনি। নাইডু বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাসবাদ। বিশেষ করে সীমান্ত পারের সন্ত্রাস। রাষ্ট্রীয় নীতির অঙ্গ হিসেবে সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করছে কিছু দেশ। আমরা বিশেষ করে তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এই অঞ্চলের। সন্ত্রাসবাদের বিপদ শেষ হলেই একমাত্র এইসব সম্ভাবনার প্রকৃত শক্তি উপলব্ধি করা সম্ভব।”
উল্লেখ্য, এর আগে ডোকলাম সংঘাতের পর ২০১৮ সালে চিনের কুইংডাও শহরে SCO সামিটে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে জিনপিংযের সঙ্গে বেশ হাসিখুশি মেজাজেই দেখা যে তাঁকে। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি পালটেছে। পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজের আগ্রাসন ও গালওয়ান উপত্যকায় ২০ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুত পর এবারের SCO সামিটে উপস্থিতি ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। পরিবর্তে গতকাল নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতেই একটি সড়ক প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, চিনকে পরোক্ষ বার্তা দিতে বৈঠক এড়িয়ে যান মোদি। এদিকে, গতকালের সামিটে বাকি সদস্য দেশ রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চার অবজার্ভার দেশের মধ্যে আফগানিস্থানের প্রেসিডেন্ট, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী এবং মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি এদিনের সামিটে অংশ নেন।