শুভায়ন চক্রবর্তী, মুম্বই: বারো বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হার। একইসঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়েও হঠাৎ করেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ফেভারিট ছিল ভারত। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হারের পর রোহিত শর্মারা চাপে পড়ে গিয়েছেন। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা আরও বেড়েছে, প্রথম ইনিংসে ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায়। ভারতীয় টিমের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলও বলে দিয়েছেন, টেস্ট জিততে গেলে প্রথম ইনিংসে রান করতে হবে।
এই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার মুম্বইয়ে তৃতীয় তথা সিরিজের শেষ টেস্টে নামবেন রোহিতরা। ম্যাচটা জিততে না পারলে সমস্যা যে আরও বাড়বে, সেটা ক্রিকেটাররা খুব ভালো করেই জানেন। তাই ওয়াংখেড়েতে ব্যাটারদের নিয়ে বিশেষ অনুশীলন চলল। ওয়াংখেড়েতে লাল-মাটির উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে বোলাররা অনেক বেশি বাউন্স পাবেন। নিউজিল্যান্ড পেসাররাও সেটা খুব ভালো করেই জানেন। তাই শর্ট বলে খেলার বিশেষ মহড়া চলল এদিন ভারতীয় নেটে। বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা-সহ টপ অর্ডারের ব্যাটাররা অবশ্য খুব বেশিক্ষণ ব্যাটিং করেননি। মোটামুটি মিনিট কুড়ি মতো প্রত্যেকে ব্যাটিং করলেন।
ব্যাটারদের নিয়ে নেট সেশন একটু আলাদা ধরনের হল। ঋষভ পন্থ যথারীতি স্বমহিমায় ব্যাট করে গেলেন। একের পর এক বল উড়ে গেল গ্যালারিতে। ঋষভের ব্যাটিংয়ের পর সব ফোকাস গিয়ে পড়ল লোকেশ রাহুলের উপর। পুণেতে রাহুলকে খেলানো হয়নি। ওয়াংখেড়েতেও তিনি খেলবেন কি না, নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে রাহুল দীর্ঘক্ষণ নেটে পড়ে রইলেন। টেনিস বলে শর্ট বোলিং খেলার মহড়া চলল। রাহুলরা কাট, পুল, হুক, আপার-কাট—সব কিছুর প্র্যাকটিস করে গেলেন। বোঝাই যাচ্ছিল ওয়াংখেড়েতে যদি টিম সাউদিরা শর্ট বোলিংয়ের স্ট্র্যাটেজি নেন, তাহলে তার ‘অ্যান্টিডোট’ তৈরি রাখছে টিম ইন্ডিয়া।
এখানেই শেষ নয়। লেগ স্টাম্প আর অফস্টাম্পের বাইরে বিশেষভাবে ‘মার্ক’ করা হয়। যাতে স্পিনারদের খেলার সময় উইকেটের পজিশন বুঝতে কোনও সমস্যা না হয়। পুণে টেস্টে স্যান্টনার একাই ধ্বংস করে দেন ভারতীয় ব্যাটারদের। এবার অবশ্য পাল্টা দিতে চাইছে ভারত। প্র্যাকটিস শুরুর আগে পুরো টিমকে নিয়ে একটা মিটিং সারলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। হয়তো ওয়াংখেড়ের মাটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিল টিম ইন্ডিয়া।