শ্রীলঙ্কা- ২০ ওভারে ১৭০/৭ (মুনাওয়েরা ৫৩, প্রিয়াঞ্জান ৪০, চাহাল ৪৩/৩, কুলদীপ ২০/২)
ভারত- ১৯.২ ওভারে ১৭৪/৩ (বিরাট ৮২, পাণ্ডে ৫১*, প্রসন্না ২৫/১)
ভারত সাত উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্ট, ওয়ানডে-র পর টি-টোয়েন্টিতেও লঙ্কাবাহিনীকে ধরাশায়ী করল ভারতীয় দল। কলম্বোয় অনুষ্ঠিত একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়ক কোহলি এবং মনীশ পাণ্ডের জোড়া অর্ধ-শতরানে ভর করে সাত উইকেটে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। বিরাটের সংগ্রহ ৮২ রান। পাণ্ডে করেন অপরাজিত ৫১ রান। ১ রান করে অপরাজিত থাকেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
তিন টেস্টের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হার। ওয়ানডেতেও একই অবস্থা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। আর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও তাই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজদের কেউই তেমনভাবে এগিয়ে রাখতে পারেননি। শেষপর্যন্ত হলও তাই। ২০-বিশের লড়াইয়ে ১৭১ রান খুব কম নয়। কিন্তু আইপিএলের যুগে হরবখত এই রান তাড়া করতে দেখা যায়। তাই শুরুতে উইকেট হারালেও (রোহিত ৯, কে এল রাহুল ২৪) বিরাট-মনীশ পাণ্ডে জুটি সহজেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। রান তাড়া করতে নামলে বেশিরভাগ দিনই দলকে জিততে সাহায্য করেন অধিনায়ক কোহলি। এব্যাপারে তিনি যেন সিদ্ধহস্ত। আর গত একবছরে সেটাই যেন মিথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিনও মনীশ পাণ্ডেকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দিলেন ভারত অধিনায়ক। সেই সঙ্গে তাঁর ব্যাট থেকে এল চমৎকার অর্ধ-শতরান। বুধবার মাত্র ৩০ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের একদম শেষে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করার পর ৮২(৫৪ বলে) রানে আউট হন বিরাট। এই ঝোড়ো ইনিংসে মারেন ৭টি চার ও ১টি ছয়। টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বেশি রানের মালিকও হলেন বিরাট। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন মনীশ পাণ্ডেও। তিনি করেন ৩৬ বলে ৫১ রান। শ্রীলঙ্কান বোলারদের মধ্যে কেউই তেমন দাগ কাটতে পারেননি। সবচেয়ে সফল প্রসন্না। তিনি ২৫ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন।
[রেনবো ছটায় কলকাতা লিগে আটকে গেল মোহনবাগান]
[কুম্বলেকে ফের ‘অপমান’ করলেন বিরাট, কীভাবে জানেন?]
এদিকে, টস জিতে প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক। শুরুতেই অধিনায়ক উপুল থরাঙ্গার উইকেট পেয়ে গেলেও তিন নম্বরে নামা মুনাওয়েরা পালটা মার শুরু করেন। মাত্র ২৯ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। মারেন ৫টি চার ও ৪টি ছয়। এরপর ইনিংসের শেষদিকে প্রিয়াঞ্জানের ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস শ্রীলঙ্কার রান ১৭০ রানে পৌঁছে দেয়। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এদিনও নজর কাড়লেন কুলদীপ যাদব। চার ওভারে ২০ রান দিয়ে নিলেন দু’উইকেট। অপরদিকে, চার ওভারে ৪৩ রান দিলেও চাহালের সংগ্রহ তিন উইকেট।
এই সিরিজ থেকেই অনিল কুম্বলের জায়গায় ভারতীয় দলের হেডস্যারের ভূমিকায় অভিষেক ঘটেছিল রবি শাস্ত্রীর। আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ক্লিনসুইপ করেই ভারতীয় ক্রিকেটে বেশ ঘটা করেই শুরু হল শাস্ত্রীয় যুগ। এবার ঘরের মাঠে আরও বড় পরীক্ষায় নামবেন ভারত। সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথদের বিরুদ্ধে পাঁচটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন বিরাটরা। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ। ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন সিরিজেই শাস্ত্রীর আসল পরীক্ষা হতে চলেছে।
[পাক দূতাবাসে ভিসা আনতে গিয়ে অপমানিত ইমরান তাহির]
The post টি-টোয়েন্টিতেও বিরাটদের কাছে ধরাশায়ী শ্রীলঙ্কা appeared first on Sangbad Pratidin.