সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাহায্য চেয়ে সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাতে বরফ গলেছে। নীতিগতভাবে কানাডাকে করোনা ভাইরাসের টিকা দিতে সম্মত হয়েছে নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ৯০ জন, উদ্বেগ বাড়াল ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস]
চলতি মাসেই কানাডায় পাঁচ লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সরকারের একটি সূত্র। শুধু কানাডা নয়, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান-সহ অন্য প্রতিবেশী দেশগুলির সেনাবাহিনীর জন্যও টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। বন্ধু দেশগুলিতে টিকা সরবরাহ করবে ভারতীয় সেনা। তার মধ্যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন, দু’ধরনের টিকাই রয়েছে। যেভাবে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের ভারতীয় সেনায় টিকা দেওয়া হয়েছে, এক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির অঙ্গ হিসাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, গত সপ্তাহে ট্রুডোর ফোনের পরিপ্রেক্ষিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফরমুলায় তৈরি টিকা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ৫ ফেব্রুয়ারি কানাডার তরফে দশ লক্ষ কোভিশিল্ড টিকা চাওয়া হয়। কিন্তু ভারতের তরফে সাড়া না মেলায় ১০ ফেব্রুয়ারি মোদিকে ফোন করেন ট্রুডো। তাতে কাজ হলেও এখনই পুরো চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে না। কারণ, ভারতীয় কূটনীতিক ও সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী। সে বিষয়ে ট্রুডো আশ্বাস দিলেও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলি তাঁদের উপর আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে অটোয়া ও ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্ত শুরু করেছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ। তাই দেখেশুনে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাইছে নয়াদিল্লি।