সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের স্বার্থেই এবার বড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পাশাপাশি শনিবারের বৈঠকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রাঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি। এবং তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়েও সদর্থক বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশ থেকে সেখানকার মানুষেরা ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁদের সুবিধার্থে ই-ভিসা সুবিধা শুরু করতে চলেছে ভারত। বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম এলাকার মানুষের সুবিধায় রংপুরে একটি সহকারী হাইকমিশন খোলা হবে।" পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, 'বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়নের সহযোগী এবং প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের স্বার্থকে ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।' প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত এক বছরে অন্তত ১০ বার সাক্ষাৎ হয়েছে আমাদের তবে এবারের সাক্ষাৎ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এবার অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা, রেল যোগাযোগ এবং পরমাণু গবেষণার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে দুই দেশ।
[আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি নিয়ে সদর্থক বার্তা মোদির, ভারতকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বললেন হাসিনা]
এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও একত্রে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের। এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, 'প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে। এক্ষেত্রে সন্ত্রাস দমন, চরমপন্থা ও সীমান্ত সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।' এছাড়া এদিনের বৈঠক থেকে তিস্তা জট ছাড়ানোরও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য ভারত থেকে একটি দল পাঠানো হবে বাংলাদেশে। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ভারত সরকার।'
[আরও পড়ুন: অটল সেতুতে ফাটল! কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে দিল বিজেপি]
অন্যদিকে ভারতকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু বলে এদিন ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, "ভারত আমাদের প্রধান প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমি শ্রদ্ধা জানাই ভারতের বীর শহিদদের, যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।"