সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হেঁটেছিলেন ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। ভুল যে করেননি, সেটা সিরিজ নির্ধারক তৃতীয় ম্যাচে প্রমাণ করে দিয়েছেন শুভমান গিল, ঈশান কিষাণরা।
‘টিম ইন্ডিয়া’র এই তারুণ্যের বিচ্ছুরণ আর পাঁচজনের মতো চোখ টেনেছে তাঁরও। উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ভরিয়ে দিতে ভোলেননি ভারতীয় ক্রিকেটের ‘নেক্স-জেন’ গিল, ঈশানদের। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং ‘প্রিন্স’ – ব্রায়ান চার্লস লারা।
শুভমান ও ঈশানকে সঙ্গে নিয়ে বিসিসিআই টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি বলেছেন, “ভারত আমার কাছে সেকেন্ড-হোম। ভাল লাগছে সেই দেশ থেকে প্রচুর প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসতে দেখে।”
[আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্রামের জের, আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পতন রোহিত-বিরাটের]
ভারতীয় দলের উচ্চকোটি প্রশংসা করে লারা আরও জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে প্রচুর প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। শুধুমাত্র সিনিয়র টিম নয়, চাইলেই টিম ম্যানেজমেন্ট একটা সমমানের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় দল মাঠে নামাতে পারে।” টেস্টের পরে ওয়ানডে-তেও জিতেছে ভারত। আজ থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
গর্বিত লারাকে পাশে পেয়ে আপ্লুত শুভমান থেকে ঈশান – দু’জনেই। ক্যারিবিয়ান সফরে শুরুটা ভাল না হলেও শেষ ম্যাচে ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন গিল। অন্যদিকে, এবারের ক্যারিবিয়ান সফরের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি বলা চলে ঈশানের দুরন্ত ফর্ম। ভারতের দুই ওপেনারের কাছে ক্ষয়িষ্ণু ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ চেয়েছিলেন লারা। সপ্রতিভ ঈশান বলেন, “ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার জন্য জেতার খিদেটা থাকা দরকার। দলের স্বার্থে নিজেকে মেলে ধরার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।” লারার মতো কিংবদন্তির উপস্থিতি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট বলেও জানাতে ভোলেননি বাঁ-হাতি এই ওপেনার।
আর গিল? পাশে দাঁড়ানো ক্রিকেটের ‘প্রিন্স’কে নিয়ে নস্ট্যালজিক ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের মুখ। আপ্লুত শুভমানের কথায়, “লারা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বোলারদের বিরুদ্ধে নির্মম ব্যাটিং। বিশেষ করে লাল বলের ফর্ম্যাটে। শুরু থেকে যে ক’জন ব্যাট হাতে সরাসরি বোলারদের আক্রমণ করতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন, লারা তাঁদের অন্যতম। আমি সেই ব্যাটিং দেখে অনুপ্রাণিত হতাম।”