প্রণব সরকার ও সুকুমার সরকার: বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা ও মণিপুরে তেল ও গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল)। স্মারক অনুযায়ী সিলেট ও মৌলভীবাজারের সড়ক ব্যবহার করে অসম থেকে ত্রিপুরা ও মণিপুরে জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) পৌঁছবে।
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে, সম্প্রতি বন্যা ও ভূমিধসে যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি হওয়ায় এই উদ্যোগ নেয় ভারত সরকার। সমঝোতা স্মারকের আওতায় চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার করতে পারবে ভারত। এই চুক্তিতে কিছু প্রশাসনিক ফি, স্থানীয় টোল এবং রাস্তা ব্যবহারের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রতি টনে ১ টাকা ৮৫ পয়সা হারে চার্জ-সহ অন্যান্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে যা আইওসিওল বহন করবে।
[আরও পড়ুন: প্রায় ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা বকেয়া রাজ্যের, মোদির সঙ্গে বৈঠকে প্রাপ্য হিসেব বুঝিয়ে দিলেন মমতা]
জানা গিয়েছে, এই বছর ভারী বর্ষণে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাস্তাগুলির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে অসমের মধ্য দিয়ে পেট্রোপণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ অসম এবং মিজোরামে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য একটি জরুরি বিকল্প পথের প্রয়োজন হয়। সমঝোতা স্মারকের ফলে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি বিকল্প পথ ব্যবহার করে মোটর স্পিরিট, হাই-স্পিড ডিজেল, সুপিরিয়র কেরোসিন তেল এবং তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসসহ পেট্রোলিয়াম পণ্যের চলাচলের সুবিধা পাবে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা।
সমঝোতা অনুযায়ী, ডাউকি (মেঘালয়)-তামাবিল (বাংলাদেশ)-সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট বাইপাস ব্যবহার করে)-রাজনগর-মৌলভীবাজার বা ব্রাহ্মণবাজার-শমেশেরনগর-চাতলাপুর (বাংলাদেশ)-কৈলাশর (ত্রিপুরা)। পেট্রোলিয়াম বা এলপিজি রোডের ট্যাংকারগুলো যথাক্রমে ডাউকি-তামাবিল এবং চাতলাপুর-কৈলাশর দিয়ে সিল করা অবস্থায় ঢুকবে এবং বের হয়ে যাবে। ট্যাংকারগুলো বাংলাদেশে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। এর আগে ২০১৬ সালে একই ধরনের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যার ফলে কম সময়ের জন্য অসম থেকে ত্রিপুরায় পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।