সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন বিদেশ সচিবের কাছে ‘মানবাধিকার’ নিয়ে খোঁচা শুনতে হয়েছিল। এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পালটা আমেরিকাকে ঠুকে বললেন,”আপনাদের দেশে মানবাধিকার রক্ষা নিয়েও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। সময় এলে ভারত মুখ খুলতে পিছপা হবে না।”
আসলে দিন দু’য়েক আগে ভারত-আমেরিকা টু প্লাস টু বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সামনেই ভারতে মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নয়াদিল্লিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন,”ভারতের ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলির দিকে নজর রয়েছে আমেরিকার। কিছু সরকারি আধিকারিক, পুলিশ এবং জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার (Human Rights) লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠছে। আমরা নিয়মিত এ বিষয়ে আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছি।”
[আরও পড়ুন: উপহার পাওয়া বহুমূল্য হার বিক্রি ইমরানের, তদন্ত শুরু প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে]
সেসময় ভারতের দুই মন্ত্রী মার্কিন বিদেশ সচিবের সেই খোঁচা হজম করে নিলেও আমেরিকা সফরের শেষদিনে এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন জয়শংকর। ব্লিঙ্কেনের খোঁচার যোগ্য জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “দেখুন কেউ ভারত সম্পর্কে নিজের মতামত দিতেই পারে। কিন্তু আমাদেরও মতামত আছে। আমরা জানি ওরা একথা কেন বলছে। কোন লবি এবং ভোটব্যাংক রক্ষা করতে এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে সেসবও আমাদের জানা আছে। আমি আপনাকে বলছি, যখন এ নিয়ে আলোচনার সময় আসবে আমরা মুখ খুলতে পিছপা হব না।” জয়শংকর সাফ জানিয়ে দেন, ভারত-আমেরিকা টু প্লাস টু বৈঠকে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়নি, তাই এ নিয়ে ভারত কিছু বলেনি। পরে যখন এ নিয়ে আলোচনা হবে তখন ভারত আমেরিকা প্রসঙ্গেও নিজেদের মতামত তুলে ধরবে।
[আরও পড়ুন: প্রায় ৫০০ প্রাক্তন আফগান আমলাকে খুন করেছে তালিবান, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এরপরই বিদেশমন্ত্রী পালটা আমেরিকাকে আক্রমণ করে বলেন,”বহু মানুষের মানবাধিকার নিয়ে আমাদেরও মতামত আছে। আমেরিকায় মানবাধিকার নিয়েও আমাদের উদ্বেগ আছে।” মঙ্গলবারই নিউ ইয়র্কের রিচমন্ড হিলের কাছে দুই শিখ যুবককে বিদ্বেষজনিত হিংসার শিকার হতে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন জয়শংকর বলেন,”এই দেশে(আমেরিকায়) যখন মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে তখন আমরাও সরব হই। বিশেষ করা আমাদের কেউ আক্রান্ত হলে। গতকালই একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। “