সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (Religious Minority) প্রতি সবচেয়ে সহনশীল তথা নিরাপদ রাষ্ট্র ভারত। ভারতীয় সংস্থার রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হল। রাষ্ট্রগুলির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি সহনশীলতার তালিকা তৈরি করেছে দিল্লির সেন্টার ফর পলিসি অ্যানালিসিস (Centre for Policy Analysis)। বুধবার ওই তালিকা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন ভারতের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু (Venkaiah Naidu)। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে ভাল আছে সংখ্যালঘুরা।
সিপিএ জানিয়েছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি রাষ্ট্রগুলির সহনশীলতার তালিকা তৈরি করা হয়েছে একটি দেশের মানবাধিকার, সংখ্যালঘুদের প্রতি অবস্থান, ধর্মীয় স্বাধীনতা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতির বিভিন্নতা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। এই তালিকাতেই শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ভারত। আমেরিকা (USA) পঞ্চম, প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল (Nepal) ৩৯তম স্থানে। অন্যদিকে তালিকায় রাশিয়া (Russia) ৫২তম স্থানে রয়েছে, চিন (China) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) যথাক্রমে ৯০ ও ৯৯তম। আশানুরূপ ফল করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। তারা ১০৪ নম্বরে। অন্যদিকে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান (Afghanistan) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি সহনশীল রাষ্ট্রের তালিকায় রয়েছে ১০৯তম স্থানে।
[আরও পড়ুন: স্থায়ী চাকরি অলীক গুজরাটের শিল্পাঞ্চলে, শ্রমিক সংগঠনও নিষিদ্ধ মোদি-গড়ে!]
উল্লেখ্য, প্রথমবার ভারতের কোনও সংস্থা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি রাষ্টের আচরণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তালিকা প্রকাশ করল। নিজেদের তালিকা প্রকাশ করে সিপিএ দাবি করেছে, এই তালিকা অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির পদাঙ্ক অনুসরণ করে তৈরি করা হয়নি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার উপর নির্ভর করে সংবেদনশীল বিষয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিকর তালিকা তৈরি করেছে অতীতে। এভাবে একটি দেশের অভ্যন্তরের প্রকৃতি পরিস্থিতি সম্পর্কে বিচার করা যায় না।
[আরও পড়ুন: লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করে আক্ষেপ নেই আফতাবের, জানালেন আধিকারিকরা]
সিপিএ চেয়ারম্যান দুর্গা নন্দ ঝা জানান, ধর্মীয় বৈচিত্রে বিশ্বাস করে ভারত। সেভাবেই সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। যদিও সব সময় কাঙ্খিত ফল মেলে না। এর পিছনে সম্প্রদায়গত নানা কারণ রয়েছে, বিশেষত মুসলিমদের মধ্যে। ভারতের সংখ্যালঘু নীতিকে আরও শক্তিশালী করার পক্ষে মত দেন দুর্গা নন্দ ঝা। সিপিএ রাষ্ট্রসংঘকে পরামর্শ দিয়েছে, প্রতিটি দেশ সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করুক রাষ্ট্রসংঘে। বাধ্যতামূলক করা হোক এই প্রতিবেদন।