অস্ট্রেলিয়া: ১১৫.২ ওভারে ৩৬৯ (লাবুশানে ১০৮, পেইন ৫০, সুন্দর ৩-৮৯, শার্দূল ৩-৯৪)
ভারত: ২৬ ওভারে ৬২-২ (রোহিত ৪৪, পূজারা ৮*)
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের থেকে সামান্য হলেও এগিয়ে রইল অজিরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের প্রথম ইনিংসের স্কোর ২ উইকেটে ৬২। এর আগে অজিরা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৬৯ রানে। প্রথম দিনের ৫ উইকেটে ২৭৪ রান থেকে শুরু করে টিম পেইন এবং গ্রিনের জুটি অজিদের এদিন পৌঁছে দেয় ৩১৩ রান পর্যন্ত। ব্যক্তিগত ৫০ রানে অধিনায়ক পেইনকে ফেরান শার্দূল ঠাকুর। সুন্দরের বলে গ্রিন আউট হন ৪৭ রানে। শেষদিকে স্টার্ক এবং লিয়ন ২০ এবং ২৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
আসলে সার্বিকভাবে দ্বিতীয় দিনের দিনের শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি ভারত। অজিদের শেষ পাঁচটি উইকেট ১০০ রানের কমেই তুলে নিয়েছিলেন ভারতীয় বোলাররা। মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির আগেই অজিদের ৩৬৯ রানে অল-আউট করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু ব্যাট করতে গিয়ে শুরু হয় বিপত্তি। যে ওপেনিং জুটি আগের টেস্টে টিম ইন্ডিয়াকে ভরসা দিয়েছিল, তারাই এদিন হতাশ করলেন। অফ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরলেন শুভমন গিল। আর রোহিত যেভাবে আউট হলেন, টেস্ট ক্রিকেটের ভাষায় সেটাকে বলে ‘সুইসাইডাল’। গিলের উইকেটের পর পুজারার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ ভালই খেলছিলেন রোহিত। নিয়মিত রান আসছিল তাঁর ব্যাট থেকে। দেখে মনে হচ্ছিল, টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন এবার লম্বা ইনিংস খেলতে চলেছেন। কিন্তু তখনই ছন্দপতন। অনেকটা টি-২০ ক্রিকেটের ধাঁচে লিয়নের বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে নিজের উইকেটটি ছুঁড়ে দিয়ে এলেন তিনি। তার আগেই অবশ্য ৪৪ রান করে ফেলেছিলেন হিটম্যান।
[আরও পড়ুন: অনবদ্য লাবুশানে, ব্রিসবেনে চোট-আঘাতে জর্জরিত ভারতের বিরুদ্ধে সুবিধাজনক জায়গায় অজিরা]
এদিন যেভাবে রোহিত আউট হলেন, তা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর বলছিলেন,”রোহিতের এই শট অপ্রয়োজনীয় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। এককথায় ক্ষমার অযোগ্য। যে শট তিনি খেললেন তার কোনও ব্যাখ্যাও হয় না।” আসলে, ভাল সেট হয়ে যাওয়ার পর একজন সিনিয়র ক্রিকেটার যে এভাবে আউট হবেন সেটা হয়তো কেউ প্রত্যাশা করেননি। রোহিতের উইকেটের পর চা পানের বিরতি পর্যন্ত কোনওক্রমে ক্রিজে পড়ে রইলেন রাহানে এবং পূজারা। চা পানের পর বৃষ্টির জন্য আর খেলা হয়নি। সেটা খানিকটা হলেও বাঁচিয়ে দিয়েছে ভারতকে। নাহলে হয়তো, দিনের শেষে আরও বেকায়দায় পড়তে পারত টিম ইন্ডিয়া।