ভারত (প্রথম ইনিংস): ৭৮/১০ (রোহিত ১৯, রাহানে ১৮, অ্যান্ডারসন ৬/৩, ওভারটন ১৪/৩)
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ৪৩২/১০ (রুট ১২১, মালান ৭০, শামি- ৯৫/৪)
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস): ২১৫/২ (রোহিত-৫৯, পুজারা-৯১*)
তৃতীয় দিনের শেষে ভারত পিছিয়ে ১৩৯ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯, ৪৫, ৪, ১২*, ১। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে এই ছিল চেতেশ্বর পুজারার স্কোর কার্ড। বিদেশের মাটিতে তরুণরা করছেন, তাঁর ছিটেফোঁটাও ধরা পড়ছিল না অভিজ্ঞ পুজারার ব্যাটে। কিন্তু লিডসে দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা গেল পুজারার সেই পুরনো চেনা ছন্দ। তাঁর ফর্মে ফেরার পাশাপাশি লাইনচ্যুত হওয়া দলও ফিরল ট্র্যাকে। প্রথম ইনিংসের বিভীষিকা ভুলে ভরসার ব্যাটিং করলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা।
লর্ডসে রুটবাহিনীকে হারিয়ে নজির গড়েছিল কোহলি অ্যান্ড কোং। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটতে থাকা সেই দলই তৃতীয় টেস্টে নেমেই মুখ থুবড়ে পড়ে। টসে জিতে কোহলির ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। এরপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই বেদনাদায়ক হয়ে উঠেছিল ইংল্যান্ডের দুরন্ত ব্যাটিং। টপ অর্ডারে বার্নস, হামিদ, মালানরা দুর্দান্ত খেলেন। আর অধিনায়ক রুট তো একেবারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যান। ১২১ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন একাই। মিডল অর্ডারে অবশ্য ধস নামার শামি (৪), বুমরাহ (২), সিরাজ (২), জাদেজা (২)। এদিন শুরুতেই স্কোর বোর্ডে ৯ রান যোগ করেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
[আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: ম্যান সিটি আউট, ম্যান ইউ ইন, জুভেন্তাসকে বিদায় জানিয়ে পুরনো ক্লাবে CR7!]
এমন একটা জায়গা থেকে ম্যাচ জেতা কঠিন চ্য়ালেঞ্জ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে অনেকটা পরিণত দেখাল। দ্বিতীয় টেস্টে জয়ী দলের পারফরম্যান্সের বিন্দুমাত্রও এবারের প্রথম ইনিংসে ছিল না। সেই জায়গা থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত ঘুরে দাঁড়াল দল। কেএল রাহুল অবশ্য এদিনও ব্যর্থ। ৮ রান করেই আউট হয়ে যান তিনি। এরপর আরেক ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বাঁধেন পুজারা। টেস্টে ব্যক্তিগত ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকান রোহিত। আর লিডস যেন নতুন করে আবিষ্কার করল হারিয়ে যাওয়া পুজারাকে। দিনের শেষে ৯১ রান করে ক্রিজে রয়ে গেলেন তিনি। সঙ্গী অধিনায়ক কোহলি। তাঁর সংগ্রহ ৪৫।
হাজারো সমালোচনার জবাব দেওয়ার এ সুযোগ কোনওভাবেই ছাড়তে চাইবেন না দুই পোর খাওয়া ব্যাটসম্যান। ৯৯ রানের পার্টনারশিপে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন তাঁরা। তবে দিল্লি এখনও বহুদূর। টেস্টের চতুর্থ দিনও এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে অন্তত হারের হাত থেকে দলকে বাঁচাতে সফল হবেন কোহলি।