ইংল্যান্ড: ৪০০
ভারত: ৪৫১/৭ (বিজয়-১৩৬, কোহলি-১৪৭*)
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে দেওয়া হয়৷ কখনও আবার এ বি ডেভিলিয়ার্সের সঙ্গে চলে তাঁর তুলনা৷ কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তিনি যেন সব ধরা ছোঁয়ার উর্ধ্বে চলে যাচ্ছেন৷ রেকর্ডও যেন তাঁর গতির কাছে ক্লান্ত হয়ে পড়ে৷ বিরাট কোহলি ছুঁতে পারবেন না, এমন আর কোনও রেকর্ড কি আদৌ থাকবে? সন্দেহ আছে৷
ফুটবলে যদি মেসি-ম্যাজিক ট্রেন্ড সেটার হয়, তবে ক্রিকেটে যে কোহলি-ক্যারিশমা, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না৷ ব্যাট হাতে সবরকম চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন তিনি৷ নেতৃত্বের চাপ? মাঠের বাইরের সমালোচনা? সেসব তখন কিছুই মনে থাকে না তাঁর৷ শুধু ব্যাটের সামনে আসা ডেলিভারিগুলোকে সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়াকেই পাখির চোখ করেন কোহলি৷ আর ওয়াংখেড়েতে ফের স্বমহিমায় ধরা দিয়ে বাণিজ্যনগরীর উইকএন্ডকে আরও একটু স্পেশাল করে তুললেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন হট৷ ১৫ তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দিনের শেষে ১৪৭ রানে অপরাজিত থাকলেন৷ রেকর্ডের ঝুলি হল আরও ভারী৷ রাহুল দ্রাবিড়ের পর প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে টেস্টে ১০০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে গেলেন বিরাট৷ সেই সঙ্গে ১৪তম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৪০০০ রানও হয়ে গেল তাঁর৷ আরও আছে৷ গত ৩৫ বছরে কোনও ভারতীয় অধিনায়ক এক সিরিজে ৫০০ রানের মাইলস্টোন ছুঁতে পারেননি৷ সেই অসাধ্য সাধনও করে ফেলেছেন তিনি৷ নেতৃত্ব যে কোনওভাবেই তাঁর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে না, ওয়াংখেড়েতে ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন৷
এদিন কোহলি রাম হলে তাঁর দোসর হলেন মুরলী বিজয়৷ কথায় বলে মুম্বই কাউকে খালি হাতে ফেরায় না৷ এদিন সে কথাই খাটল বিজয়ের ক্ষেত্রে৷ ১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের ভিত গড়ে দিয়ে যান তিনি৷ তবে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে মিরাকল দেখানো ভারতীয় স্পিনার অশ্বিন (০) এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ৷ তৃতীয় দিনের শেষে বিরাটের লম্বা ইনিংসের ওপারে দাঁড়িয়ে জয়ন্ত যাদব (৩০)৷ চতুর্থ দিনই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে নামবে ভারত৷ চলতি সিরিজের ট্রফি কাদের? দু’দিন পরই তার ফয়সলা হয়ে যাবে৷
The post কোহলির বিরাট রানে কোণঠাসা কুকবাহিনী appeared first on Sangbad Pratidin.