সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশ যখন ধীরে ধীরে করোনার বিরুদ্ধে সাফল্যের দিকে এগোচ্ছে, সেখানে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি ভয়ংকর। কোনওভাবেই বাগে আসছে না সংক্রমণ। আর সেই কারণেই ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। জানিয়ে দেওয়া হল, ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দর্শকশূন্য মাঠেই ম্যাচ আয়োজিত হবে।
ময়দানে ক্রিকেট ফিরলেও প্রথমে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল না। জো রুটদের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্ট হয়েছে সমর্থকদের উপস্থিতি ছাড়াই। তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে আহমেদাবাদের মোতেরায় ৫০ শতাংশ দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস ছাড়াই ওয়ানডে সিরিজ খেলতে হবে বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli)। শনিবারই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে পুণেতে তিন ম্যাচের সিরিজ আয়োজনের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু উদ্ধব সরকারের সাফ নির্দেশ, উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তাদের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে বিসিসিআইও।
[আরও পড়ুন: সুন্দরী স্ত্রী থাকতেও কেন অবসাদগ্রস্ত বিরাট? খোঁচা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের]
মুম্বই-সহ (Mumbai) মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহর ও শহরতলিতে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় আংশিক এবং কিছু জায়গায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কোথাও আবার জারি নাইট কারফিউ। এই পরিস্থিতিতে ২৭ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি জনতা কারফিউ জারি হয়েছে মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলায়। ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। এমন অবস্থায় পুণে থেকে সিরিজ সরানোর চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছিল। জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা (MCA)। তারপরই সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, “মহারাষ্ট্রের বাড়তে থাকা কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্যাচ পুণেতেই হবে, তবে দর্শকশূন্য মাঠে খেলবে ভারত ও ইংল্যান্ড।” পাশাপাশি সমস্ত ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিসিয়ালদেরও কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, চলতি চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখনও পর্যন্ত ২-১-এ এগিয়ে ভারত। শেষ টেস্টেই সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তারপরই হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর ২৩ মার্চ শুরু ওয়ানডে সিরিজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ যথাক্রমে ২৬ ও ২৮ মার্চ।