ভারত: ১৬৫/৮ (রাহুল-৩৯, পাণ্ডে-৫০*)
নিউজিল্যান্ড: ১৬৫/৭ (মুনরো-৬৪, সেইফের্ট-৫৭)
সুপার ওভার: নিউজিল্যান্ড-১২/১ ভারত-১৬/১
জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হ্যামিল্টনের পুনরাবৃত্তি ওয়েলিংটনে। আরও একটা রুদ্ধশ্বাস লড়াই। টানটান উত্তেজনা। আরও একবার শেষ বলে আটকে গেল প্রতিপক্ষ। ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। আর সেখান থেকেই জয় ভারতের। গত ম্যাচে মহম্মদ শামি ঠিক যে কাজটা করেছিলেন, এদিন শার্দুল একইভাবে নির্ধারিত ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয় আটকে দিলেন। দলে রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, শামির অনুপস্থিতিতেও যে জোরদার লড়াই করতে পারে তরুণ দল, সেটাই আজ প্রমাণিত। এক কথায়, অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় রিজার্ভ বেঞ্চও তৈরি। যা নিঃসন্দেহে কোহলির কাছে বড় স্বস্তির।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়া হয়ে গিয়েছে কোহলি অ্যান্ড কোংয়ের। তাই পরিকল্পনা মাফিক সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচকে পরীক্ষার মঞ্চ হিসেবেই কাজে লাগাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। আর সেই পরিকল্পনা ভালই কাজে লেগে গেল। যদিও দলে ডাক পাওয়া তিন ক্রিকেটার সঞ্জু স্যামসন, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং নবদীপ সাইনি সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেন না।
[আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় হলুদ শাড়িতে ফুটফুটে মেয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট শামির]
প্রথম একাদশে খেলার শিকে ছিঁড়ছে না বলে দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রহস্যময় পোস্ট করেছিলেন সঞ্জু। শুধু একটি কোমা (,) জ্যোতিচিহ্ন বসিয়েছিলেন। যা নিয়ে আলোচনাও হয় বিস্তর। সেই সঞ্জুই এদিন রোহিতের বিকল্প হিসেবে মাঠে নেমে কিন্তু ব্যর্থ। ওপেনার হিসেবে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ৮রান। সাইনি ও সুন্দরও এদিন কোনও উইকেট পাননি। কিউয়ি ব্যাটিং লাইন আপকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য দলকে নির্ভর করতে হয়েছে সেই বুমরাহ-শার্দুল-চাহালের উপরই। এ কথা ঠিক যে, একটি ম্যাচ দেখেই তরুণদের পারফরম্যান্স বিচারযোগ্য নয়। তবে তাঁদের আত্মবিশ্বাস আর জয়ের তাগিদ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
ঠিক উলটো পরিস্থিতি কিউয়ি শিবিরের। সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না তাদের। এতেকেই প্রথম তিনটে ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে। তার উপর এদিন ম্যাচ শুরুর খানিক আগেই জানা যায়, চোটের কারণে খেলতে পারবেন না ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন। ফলে নেতৃত্বের ভার করে টিম সাউদির উপর। ঘা খাওয়া সিংহের মতোই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে পড়েছিলেন কিউয়িরা। বল হাতে দলের কাজটা অনেকখানি সহজও করে দিয়েছিলেন সোধি (৩) ও বেনেট (২)। কিন্তু মুনরো-সেইফের্ট-টেলর দলকে জয়ের কাছাকাছি এনে দিয়েও ব্যর্থ। সুপার ওভারে ম্যাচ গড়ালে ১২ রানেই নিউজিল্যান্ডকে আটকে দেন বুমরাহ। যে লক্ষ্যে অনায়াসেই পৌঁছে যান কোহলিরা। এভাবে টানা চার ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত হোম ফেভরিটরা।
এদিনও রাহুল শুরুটা মন্দ করেননি। তবে কিউয়ি পেসে ধসে পড়ে মিডল অর্ডার। মণীশ পাণ্ডে এসে আবার দলকে খাদ থেকে তুলে ধরেন। যদিও তাতে স্কোরবোর্ডে বড় রানে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। কিন্তু শার্দুলের অনবদ্য বোলিংয়ে ঘুরে যায় ম্যাচ। প্রথমবার কিউয়িদের হোয়াইটওয়াশ করা থেকে আর মাত্র একধাপ দূরে টিম ইন্ডিয়া।
[আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন অভিষেক ডালমিয়া, সচিব স্নেহাশিস]
The post হ্যামিল্টনের পুনরাবৃত্তি ওয়েলিংটনে, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সুপার ওভারে জয়ী টিম ইন্ডিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.